নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের আলোচিত ইজিবাইক চুরির মামলায় আন্তঃজেলা চোর চক্রের ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, যশোর সদরের কাজীপুর ক্লাব মোড়ের মনির হোসেন, তুলাগোলদারপাড়ার আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার জনি হোসেন, রেজাউল গাজী, মুড়লী খাঁপাড়ার শাহ পরান ওরফে পাখি, যশোর শহরতলীর রামনগর ধোপাপাড়ার বাবলু হোসেন, ইউসুফ, রায়হান, রামনগর ধোপাপাড়ার সোহাগ হোসেন মোল্যা, খুলনা ডুমুরিয়ার উলা সরদার বাড়ি গ্রামের সাদ্দাম হোসেন ও সাহস ঘোষগাতী গ্রামের সাজু সরদার। চার্জশিটে অভিযুক্ত সাজু সরদার, ইউসুফ ও বাবুল হোসেনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর শহরের বেজপাড়ার আব্দুল্লাহ আল মামুনের একটি ইজিবাইক চলতি বছরের ৭মার্চ ধর্মতলা এলাকা থেকে চুরির ঘটনায় গত ১০ মার্চ কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুড়লীর মোড় থেকে আসামি মুনির ও তার সহযোগী পাখিকে আটক এবং একটি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এদিন রাতে আটক দুইজনের স্বীকারোক্তিতে রাজারহাট রেলক্রসিং এলাকা থেকে জনি ও তার সহযোগী রেজাউল গাজীকে একটি চোরাই ইজিবাইকসহ আটক করা হয়। এ সময় তাদের সহযোগী বাবুল হোসেন, ইউসুফ, রায়হান ও সোহাগ একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্টো-গ-১২-৯৮০০) ফেলে পালিয়ে যায়। প্রাইভেটকারটি জব্দ করে আটক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে তারা আন্তঃজেলা ইজিবাইক ও ছিনতাইচক্রের সদস্য। তারা চোরাই প্রাইভেটকার ব্যবহার করে যাত্রী সেজে বা ভাড়ায় নিয়ে নির্জন স্থানে চালককে নিয়ে গিয়ে মারপিটে ইজিবাইক ছিনতাই করে থাকে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি চুরি মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যের ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।