নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শহরের খড়কি কারবালা বামন পাড়ায় ইরফান ফারাজি (২৬) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহত ইরফান ফারাজি ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম ফারাজির ছেলে। ইরফান ফারাজির বড় ভাই ইমরান ফারাজি শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত দেখানো হয়।
মামলায় তিনি বলেন, ছোট ভাই ইরফান ফারাজি খুলনা পলিটেকনিক থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা পাশ করে। চাকরি না পেয়ে খড়কি কারবালা বামন পাড়া রোডে নিশাদ মোড়ের দক্ষিণ পাশে ফারাজি স্টোর নামে একটি মুদি দোকানে ব্যবসা করে। প্রতিদিনের মতো ২২ ডিসেম্বর বিকালে ইরফান দোকানে বসে।
ওই দিন বিকাল ৪ টার দিকে পার্শ্ববর্তী দোকানদার আজিজ উদ্দিনসহ অন্যদের মুখে সংবাদ পায় বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে অজ্ঞাত ৪/৫ জন দোকানে এসে চিপস ক্রয়ের কথা বলে। ইরফান চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালে কোন কিছু বুঝে উঠার আগে তার বুকের বামপাশে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়।
ইরফান বুক চেপে ধরে বাইরে এসে ধর ধর করে চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করলে দুর্বৃত্তরা চাকু হাতে নিয়ে উত্তর দিকে কারবালা কবরস্থানের পাশ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। লোকজন ঘটনাস্থলে যেয়ে ইরফানকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এস আই প্রদীপ কুমার রায় বলেন, আসামি এখনো আটক হয়নি। সিসি টিভির ফুটেজ ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার কারণে আসামি আটক কঠিন হয়ে পড়েছে। আসামি আটক হবে তবে একটু সময় লাগবে। কি কারণে ইরফান ফারাজি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন সেটা এখনো জানা যায়নি।
পরিবারের পক্ষ থেকেও হত্যাকাণ্ডের কোন ক্লু দিতে পারেনি। তবে ধারনা করা হচ্ছে দোকানে বেচাকেনা নিয়ে কারো সাথে কথাকাটাকাটি, মেয়েলি কোন ঘটনা বা খুলনায় লেখাপড়া করাকালীন কারোর সাথে কোন শত্রুতার সূত্র ধরে এরফানকে হত্যা করা হতে পারে।