নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে এরফান ফারাজী (২৮) নামে এক মুদি দোকানি দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের খড়কি বামনপাড়া কারবালা কবরস্থানের দক্ষিণপাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এরফান ফারাজি খড়কি বামনপাড়া কাসার দীঘির এলাকার রফিকুল ইসলাম ফারাজীর ছেলে। তিনি ইসলামী যুব আন্দোলন যশোর জেলা শাখার সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী চায়ের দোকানদার আবদুল আজিজ বলেন, বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে এরফান খড়কি বামনপাড়া কারবালা কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে দোকানের মধ্যে অবস্থান করছিলেন। এসময় পাঁচ দুর্বৃত্ত দোকানের মধ্যে ঢুকে এরফানের বুকের বাম পাশে একটি ছুরিকাঘাত করে কারবালা ক
বরস্থানের পাশের রাস্তার দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের মুখে মাক্স পরা ছিলো। তিনি দুর্বৃত্তদের চিনতে পারেননি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত ডাক্তার বিচিত্র মল্লিক বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। বুকে ছুরিকাঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা যান।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, কি কারণে কারা তাকে হত্যা করেছে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। পুলিশ হত্যার কারণ উদঘাটন ও জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছে। যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, হত্যার রহস্য এখনো উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে আসামিদের চিহ্নিত করে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
নিহতের মামাতো ভাই আবদুস সোবহান বলেন, খড়কি দক্ষিণপাড়ায় এরফান হোসেনের মুদি দোকান রয়েছে। কারো সাথে তার বিরোধ নেই। কি কারণে তাকে হত্যা করা হলো সেটা তারাও বুঝতে পারছেন না।
এদিকে, ইরফান নিহত তীব্র নিন্দা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখার সভাপতি মো. কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক খাইরুল বাশার।