# ভৈরব দূষণ বন্ধে কঠোর হতে নির্দেশ
# রাজারহাট-চুকনগর সড়ক নিয়ে ক্ষোভ
# শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অশান্তি হলে ব্যবস্থা
# র্যাব অফিসের জন্য জমি অধিগ্রহণের তাগিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামি জুনেই মধ্যে ভৈরব নদের শহরের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন ও নদী পাড়ের ওয়াকওয়ের কাজ শেষ হবে। কাজটি সম্পন্ন হলে নদের পাড় দড়াটানার দৃশ্য বদলে যাবে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ভৈরব খননের পরে বারবার নদপাড়ের বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ও হাসপাতালের সুয়ারেজ লাইনের বর্জ্য পানি দূষণ করা হচ্ছে। দূষণ বন্ধ না হওয়ায় রোববার জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় দুই-এক বক্তা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় জেলা প্রশাসক দূষণকারীদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ও দূষণরোধে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
সভায় জানানো হয়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে যশোরে ৪র্থ ধাপে আরোও জমিসহ ঘর পাচ্ছেন ৩৩৩টি পরিবার। এর মধ্যে ১৪০টি পরিবারে জমিসহ ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে শতভাগ ভূমিহীন উপজেলা হতে যাচ্ছে শার্শা, বাঘারপাড়া ও কেশবপুর উপজেলা। যা আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেবেন।
সভায় বলা হয় এ মাসে জেলায় ৩৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে মণিরামপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সভায় রাজারহাট-চুকনগর সড়ক নির্মাণের কয়েকদিনে দুই-এক স্থানে বেহাল অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক ও কেশবপুর নির্বাহী অফিসার। দ্রুত এই সড়কটি সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয় সড়ক ও জনপদ বিভাগকে। যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বিভিন্ন সময়ে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। বিগত সময়ে নানা ঘটনায় আলোচনা, সমালোচনা ছিলো শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রটি। ফলে আর কোন ঘটনায় কেন্দ্রটি নিয়ে বিশৃঙ্খলা ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া মণিহার বিজয় স্তম্ভটি অরক্ষিত রাখার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, দেশের সবচেয়ে বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে অনেক সময় তীব্র আকারে যানজট লেগে থাকে। ভারতে যাওয়া আসায় যাত্রীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। একই সাথে যাত্রীদের সুবিধার্থে বন্দর এক্সপ্রেসটি সপ্তাহে দুই দিনের পরবর্তে আরো দুইদিন বাড়ানোর অনুরোধ জানান। দীর্ঘদিন ধরে যশোর র্যাব তাদের নিজস্ব কার্যালয়ের অভাবে কার্যক্রম চালাতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে চাঁচড়া এলাকায় ৩ একর জমি অধিগ্রহণ ব্যবস্থার তাগিদ দেওয়া হয়। আসন্ন রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য বাসা বাড়িতে অতি প্রয়োজনীয় ছাড়া এসি ফ্রিজ ও মটর না চালানোর অনুরোধ জানান পল্লী বিদ্যুৎ ও ওজোপাডিকো।
এসময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ, মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল প্রমুখ। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।