নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামীকাল ৮ মে যশোরের মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর ২৯ মে সদর উপজেলা নির্বাচন। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা বিএনপি ভোট বর্জনের জন্য দলীয় নেতা এবং কর্মী সমর্থকদের সাথে দফায় দফায় সভা করছে। মণিরামপুর এবং কেশবপুরে সাধারণ মানুষের মাঝে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিলি করা হয়েছে হ্যান্ডবিল। জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও সাধারণ মানুষ ভোটের ময়দানে যাবে না। পাশাপাশি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যশোরের যেসকল নেতাকর্মী কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে তার বিরুদ্ধে নেয়া হবে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জানান, মণিরামপুর, কেশবপুরসহ সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোতে নেতাকর্মীদের সাথে সভা করা হয়েছে। সভায় স্পষ্ট বলা হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী যদি কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালায় বা ভোটের ময়দানে উপস্থিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে পদক্ষেপ নেয়া হবে। দলীয় কোন পদে থাকলে করা হবে বহিষ্কার।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারণে কদর বেড়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। এতদিন যারা আমাদের উপর অন্যায়, অত্যাচার চালিয়ে এসেছে এখন তারাই ভোটের মাঠে আমাদের নেতাকর্মীদের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছে। কিন্তু আমরা সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের জায়গায় কঠোর। বিএনপির কোন নেতাকর্মী ভোটের মাঠে যাবে না। এবং আমরা বিশ্বাস করি সাধারণ মানুষও এই ভোট বর্জন করেছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন বয়কটের বিষয়ে দল যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে আমরা মাঠ পর্যায়ে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছি। কেউ যদি দলের নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে মণিরামপুর ও কেশবপুরের সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ডে সভা করে নেতাকর্মীদের দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি হ্যান্ডবিলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
