মামলায় ধীরগতি, কয়েকটির রায় হলেও পলাতক সাজাপ্রাপ্তরা
 সীমান্তে খাটালের আড়ালে স্বর্ণ পাচার
 এক পিস সোনা পাচারে কাজ করেন ৩০-৪০ জন
জাহিদ হাসান
যশোর অঞ্চলে গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বড় স্বর্ণচালান উদ্ধার হয় ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট। শার্শার শিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ওই দিন রাত ১০টার দিকে মহিউদ্দিন নামে একজনকে আটক করেন। তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ৬২৪টি সোনার বার উদ্ধার হয়। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে ৪০০ গ্রাম। দাম ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মামলাটি তদন্ত করে সিআইডি চার্জশিট দেয়। চার্জশিটে মহিউদ্দিনসহ নয়জনের নাম আসে। মামলাটি প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। জানা গেছে, মহিউদ্দিনসহ চার আসামি জামিনে থাকলেও বাকী পাঁচ আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
২০১৯ সালের ২০ মে শার্শা থানা পুলিশ সংবাদ পায় সামটা জামতলা এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই সংঘটিত হয়েছে। পরে এ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এসআই আবুল হাসান ঘটনাস্থলে যেয়ে জানতে পারেন বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা দুইজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। পরে তারা শার্শা থানায় আটক সাজেদুর ও আক্তারুলকে হাজির করে। আটক দুইজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৮ পিচ সোনার বার। এ ঘটনায় তৎকালীন এসআই (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) আবুল হাসান শার্শা থানায় চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বর্তমানে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচারধীন।
সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত এক দশকে স্বর্ণ আটকের ঘটনায় অন্তত ৬০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার প্রায় অর্ধেকের বেশি বিচারাধীন এবং বিচার এক যুগের বেশি সময় ধরে চলছে। আবার বেশির ভাগ আসামিরা জামিনে রয়েছে। মামলায় যেগুলো সাজা হয়েছে প্রত্যেকই সোনা বহনকারী। এখনো অধরা গডফাদাররা। এ ছাড়া এসব মামলার তদন্তেও তেমন অগ্রগতি নেই।
যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম ইদ্রীস আলী বলেন, ‘সোনা চোরাচালানসহ সকল পুরানো মামলার কাজ শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিচারবিভাগ। দ্রুতই সোনাচালান মামলার সাক্ষী শেষ করে মামলার কাজ শেষ করবে। তিনি জানান, সাক্ষীর অভাবে এসব মামলার কাজ শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে। অনেক সময় তদন্ত কর্মকর্তারা রিপোর্ট জমা দিতে দেরি করেন। একারণেও বিচারে ধীরগতি রয়েছে।’
কেন বিচারে ধীরগতি ?
মামলার বিভিন্ন ধাপে যুক্ত ব্যক্তি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামলা করার পর তদন্ত ও বিচারের প্রতিটি ধাপে ভিন্ন ভিন্ন কারণে দেরি হয়। স্বর্ণ চোরাচালান উদ্ধার হওয়ার পর মামলায় স্থানীয়দের সাক্ষি করা হয়। বেশির ভাগই মামলায় পরবর্তীতে এসব সাক্ষিরা নিয়মিত আদালতে হাজিরা দেন না। এতে মামলার অভিযোগপত্র গঠনে দেরি হয়। বিচার শুরুর পর লম্বা বিরতি দিয়ে শুনানির তারিখ ধার্য হয়। সাক্ষীকে হাজির করাও কঠিন হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) সাক্ষ্য পেতে সবচেয়ে দেরি হয়। বিশেষ করে তারা বদলি হয়ে গেলে তাদের সাক্ষ্য পেতে বছরের পর বছর লেগে যায়। এই বিষয়ে পিপি ইদ্রীস আলী বলেন, ‘মামলার চাপে দেরি করে তারিখ ধার্য হয়। অনেক সময় সাক্ষী আসে না। সাক্ষী হাজির করার দায়িত্ব প্রসিকিউশনের। অনেকে সাক্ষ্য দিতে আগ্রহী থাকেন না। আদালত সমন জারি করলে অনেক সময় সাক্ষীকে ধরে আনতে হয়।
সীমান্তে খাটালের আড়ালে স্বর্ণ পাচার :
যশোর সীমান্ত এলাকার অনেক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গরু ব্যবসার নামে খাটাল (গোয়াল) তৈরি করে এর আড়ালে বাহকের মাধ্যমে ভারতে স্বর্ণ পাচার করা হচ্ছে। এর বিনিময়ে ভারত থেকে সমপরিমাণ ডলার বা অন্য মুদ্রা অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনা হয়। বেনাপোল সীমান্তে যারা স্বর্ণ পাচারে জড়িত, তাদের কয়েকজনের নাম-পরিচয় রয়েছে এই প্রতিবেদকের কাছে। বিজিবি, র্যাব ও যশোর পুলিশের তালিকার মধ্যে রয়েছে রুহুল আমিন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দির পাঁচগাছিয়া। একই চক্রে আছে রুহুল আমিনের ভাই রেজাউল করিম। দুই ভাই নেপথ্যে থেকে দীর্ঘদিন সীমান্ত কেন্দ্রিক অবৈধ স্বর্ণের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তে স্বর্ণ চোরাকারবারিদের মধ্যে আরও আছে শার্শার পুটখালী এলাকার বুদো সর্দারের ছেলে মো. ওলিউর রহমান ও তার ভাই মো. নাসির উদ্দিন। কারবারিদের তালিকায় কুমিল্লার দাউদকান্দির নৈয়াইর এলাকার সিরাজ বেপারির ছেলে মো. শাহজালাল, চাঁদপুরের উত্তর মতলবের রশিদ মিরাজীর ছেলে আরিফ মিরাজী, মাদারীপুরের বলশা এলাকার আবু হায়াত জনি, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার রবিউল আলম রাব্বী, বেনাপোলের দুর্গাপুর এলাকার জাহিদুল ইসলাম, যশোরের পুটখালীর আতিয়ার রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন, যশোরের নাসির, রমজান, আলমগীর ও মেহেদী। দেশের বাইরের চক্রের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে দুবাইকেন্দ্রিক নুরুল ইসলাম, কফিল উদ্দিন, আবু তাহের ও কামরুল ইসলাম।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মানি লন্ডারিং ইউনিটের তদন্তে উঠে আসে, সীমান্তের ওপারে স্বর্ণ চোরাচালান কারবারের অংশীদার গৌতম নামে এক ব্যক্তি। এ ছাড়া সেখানকার আরেক বড় কারবারির নাম নিতাই। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত দুই ভাই রুহুল আমিন ও রেজাউল এবং তাদের সহযোগীরা ১৩ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার টাকা স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে আয় করেছে। সীমান্তে স্বর্ণ চোরাকারবারির মধ্যে আরেকজন হলো পুটখালীর মৃত সহিদুল হকের ছেলে রেজাউল ইসলাম রেজা। এক দশক আগেও গ্রামে বাড়ি ছাড়া তার তেমন কোনো সম্পদ ছিল না। বৈধ তেমন কোনো ব্যবসা না থাকলেও চোরাচালানে জড়িয়ে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক সে।
সিআইডি যশোরের বিশেষ পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কঠোর নিয়ম মেনে ভারত স্বর্ণ আমদানি করে। তাই অনেক সময় চোরাকারবারিরা অবৈধ পথ বেছে নেয়। নানা সাংকেতিক কোড ব্যবহারের মাধ্যমে সীমান্ত হয়ে চালান বাইরে যায়। যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসছে, তাদের ধরা হচ্ছে। অনেকের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলাও হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাহকরা অধিকাংশ সময় স্বর্ণের প্রকৃত মালিকের নাম প্রকাশ করতে চায় না। তাদের অসহযোগিতার কারণে এক-দুই স্তরের বেশি পর্যন্ত আমরা যেতে পারি না। দুবাই ও সিঙ্গাপুরে যারা থাকে, তাদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা কষ্টসাধ্য।
বাহক ধরা পড়লেও মূল রাঘববোয়ালরা অধরা :
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি। শার্শার অগ্রভুলোট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা পাঁচভুলোট গ্রামের নয়কোনা বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুর রাজ্জাকে আটক করে। এ সময় তার স্বীকারোক্তিতে মোটরসাইকেলের চেসিসের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৬৩ পিচ সোনার বার (যার ওজন ৭ কেজি ৩৩৭ গ্রাম) উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিজিবির হাবিলদার নাসিম মোল্যা চোরাচালান দমন আইনে শার্শ থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আসামি আব্দুর রাজ্জাককে অভিযুক্ত করে আদালতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সঙ্গে বাহক ধরা পড়লে এখনো অধরা এই ঘটনার মূলহোতা ও নেপথ্যেরা। যশোর বিজিবি এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, গত এক দশকে দেড় হাজার কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে সীমান্তবতঅী এই জেলা থেকে। এর মধ্যে গত চার বছরেই উদ্ধার হয়েছে আড়াইশ’ কেজি। ২০২০ সালে উদ্ধার হয় ৪১ কেজি ৭২২ গ্রাম, ২০২১ সালে ১৩ কেজি ১৪৩ গ্রাম, ২০২২ সালে দেড় শ’ কেজি আর আর চলতি বছরের ৬ মাস না যেতেই ৩৪ কেজির বেশি সোনা উদ্ধার হয়েছে। তবে এসব সোনা পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও মূল হোতারা সবসময় থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতি যশোরের সভাপতি রকিবুল ইসলাম চৌধুরী সঞ্জয় বলেন, ‘সোনা চোরাচালানে জড়িত মূল হোতারা আটক হয় না। বিজিবির কাছে যে পরিমাণ সোনা আটক হয়, এর চেয়ে অনেক বেশি পাচার হয়। এতে আমাদের বদনামও হয়, আমরা ক্ষতিগ্রস্তও হই।’
এক পিস সোনা পাচারে কাজ করেন ৩০-৪০ জন :
স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে যশোর। এ জেলা থেকে প্রতিনিয়িত পাচার হচ্ছে স্বর্ণ। চোরাচালান ঠেকাতে প্রশাসনের তেমন কার্যকর তৎপরতা দেখা যায় না। যেটুকু উদ্ধার হয় তা বিজিবি সদস্যরা করে থাকেন। বৈধ স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিজিবি বা কাস্টমসের হাতে যে স্বর্ণ উদ্ধার হয় তার ২০ গুণ সোনা পাচার হয়ে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সীমান্তে একের পর এক সোনা উদ্ধার ও জব্দের ঘটনা ঘটছে। কখনো গাড়িতে বিশেষ কায়দায়, কখনো পেটের ভেতর বা পায়ুপথে, নারীদের গোপনাঙ্গে, স্যান্ডেল-জুতার ভেতরে নানা কায়দায় সোনা পাচার করা হচ্ছে। অনেক সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় কেজি কেজি সোনা উদ্ধার করা হচ্ছে। চোরাচালান প্রতিরোধে কাজ করা একাধিক সূত্র জানায়, এক পিস সোনার বার দেশের কুমিল্লা, চট্টগ্রাম বা ঢাকা যে পথেই প্রবেশ করুক না কেন পাচার হয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে অন্তত ৩০-৪০ জন কাজ করেন। কেউ বাহক, কেউ লাইনম্যান, কেউবা ইনফরমার। আবার কেউ কেউ বাহক বা লাইনম্যান ও ইনফরমারের ওপর গতিবিধি অনুসরণের কাজ করেন। প্রতি পিস বার পাচারের জন্য মূল হোতা পাচার কাজে নিয়োজিত একজনকে দায়িত্ব দেন। এজন্য তাকে দেওয়া হয় তিন হাজার টাকা করে। ওই টাকা থেকে বাহকসহ রাস্তায় নিয়োজিত ওয়াচম্যানদের দেওয়া হয় এক হাজার। ওয়াচম্যানরা বিভিন্ন মোড়ে বা রুটে নির্দিষ্ট এরিয়ায় কাজ করেন। বিজিবি বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ আসছে কি না বা ওই রুটে সামনে কোনো বিপদ আছে কি না তা নির্দিষ্ট একটি বা দুটি মোবাইল নম্বরে জানিয়ে দেন তারা। তবে এর আগের বা পরের জনকে তারা জানতে পারেন না। তেমনি মূলহোতা কারা তাও তাদের জানতে দেওয়া হয় না। তারা শুধু নির্দিষ্ট সময় তথ্য দিয়ে সহায়তা করে এবং তাদের ভাগের টাকা যথাযথভাবে বুঝে নেন। সে টাকাও গ্রহণ করতে হয় অপরিচিত মাধ্যম থেকে। এজন্য মূল হোতারা থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।
উদ্ধারের বাইরে সীমান্তের বিভিন্ন চোরাচালানি ঘাট ও আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে দীর্ঘদিন বিপুল পরিমাণ সোনার বার ভারতে পাচার করেছেন এক শ্রেণির চোরাকারবারি ও বহনকারীরা। তবে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর এসব অভিযানে শুধু বহনকারী শ্রমিকই আটক হয়েছেন। সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন মূল হোতারা। কয়েকটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিজিবি ও যশোরের কয়েকটি থানার দেওয়া তথ্য মতে, খুলনা বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে সীমান্ত এলাকা রয়েছে মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও সাতক্ষীরায়। এসব সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন সোনার বড় বড় চালান পাচার হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
এই বিষয়ে ৪৯ বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, ‘সোনাসহ বিভিন্ন চোরাচালান রোধে বিজিবি সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে আমাদের গোয়েন্দা দল কাজ করছে। সোনা চোরাচালানে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’ তিনি জানান, বিজিবি অভিযান চালিয়ে সোনা জব্দ করে ও আসামির বিরুদ্ধে মামলা দেয়। এরপর এসব মামলার তদন্তভার পুলিশের ওপর বর্তায়। নেপথ্যে থাকা চোরাকারবারিকে সামনে আনবে তদন্তকারী ইউনিট। এরপরও বিজিবি সজাগ ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আর যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, ‘স্বর্ণচোরাকারবারিদের রিমান্ড চেয়ে চালান দেওয়া হয়। রিমান্ডে বহনকারীরা মুখ না খোলায় এবং পর্যাপ্ত তথ্য না দেওয়ায় রাঘববোয়ালরা পার পেয়ে যান। এ ছাড়া তথ্য পেলেও পর্যাপ্ত প্রমাণ ও সাক্ষীর অভাবে অনেক সময় আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যান রাঘববোয়ালরা’।

 
									 
					