শাহারুল ইসলাম ফারদিন
যশোরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে। তবে চারমাস বয়সী আরোহী নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, ডায়রিয়া আক্রান্ত কমলেও নতুন করে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের খবর মিলেছে। সিভিল সার্জন অফিস বলছেন, টানা বৃষ্টি না হওয়ায় এডিস মশার প্রকোপ বাড়ছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখার ওপর জোর দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার নতুন একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে তিনজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্তরা হলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুরের তৌফিক হাসান (২১), চৌগাছার জগদীশপুরের মিম খাতুন (১৮) ও হাকিমপুরের রূপা খাতুন (২২)। এর মধ্যে দুইজন গত শুক্রবার ঢাকা থেকে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক বলেন, যশোরে ডেঙ্গু রোগীর তথ্য মিলেছে। যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ার জন্য সদ্য খোলা নতুন ওয়ার্ডটি ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা হয়েছে। আক্রান্তদের চিকিৎসায় আমাদের প্রস্তুতি আছে। কিন্তু সবচেয়ে ভালো হচ্ছে মশার কামড় থেকে নিজেদের রক্ষা করা। যাতে এডিস মশা না জন্মায়, সেজন্য বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা। তিনি আরোও বলেন, বর্ষার শুরু থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এডিসের প্রার্দুভাব থাকে। তাই বছরের এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
অন্যদিকে প্রায় প্রায় আড়াই সপ্তাহ ধরে যশোরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ার পর গত একসপ্তাহ ধরে তা নিম্নমুখী। যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্র মতে, আগে যেখানে হাসপাতালে দিনে গড়ে ৫০-৬০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতো। বর্তমানে তা কমে দাড়িয়েছে ১০ থেকে ১২ জন। গত সোমবার এ সংখ্যা ছিল ২৩ জন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভর্তি ছিলেন ১৯জন। এর মধ্যে চারমাস বয়সী আরোহী নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। শিশুটি শহরের খড়কি হাজাম পাড়ার ইজিবাইক চালক মিলন হোসেনের কন্যা।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক হিমদ্রী শেখর বলেন, বর্তমানে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিনদিন কমছে। শহরের কয়েকটি এলাকায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছিল সে বিষয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) আট সদস্যের একটি দল নমুনা নিয়ে গেছে। তবে তাদের অনুসন্ধানে কী পেয়েছে সে বিষয়ে এখনো আমাদের জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ মাস আগে জেলায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। মার্চ মাসের শুরুর দিকে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।