নিজস্ব প্রতিবেদক
জমিদাতা ও আওয়ামী লীগ নেতার বাধার কারণে যশোর সদরের কাজীপুর গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাধা দেয়ায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন না করেই ফিরে আসেন সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
সিভিল সার্জন অফিস মতে, প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে সারাদেশে ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। সেই তালিকায় যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কাজীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকও ছিল। ক্লিনিক নির্মাণের সময় জমির দাতা ছিলেন বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন। এই কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন গত চার বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। সম্প্রতি সেটা ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণে ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধায়নে পূর্বের পাঁচ শতক জমির উপরে অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণে ঠিকাদার চূড়ান্ত শেষে ও কার্যাদেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ উদ্বোধন করতে যান জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল ও সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা। তবে কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনের নকশা পছন্দ না হওয়াতে জমিদাতা আওয়ামী লীগনেতা মোসলেম উদ্দিন নির্মাণ উদ্বোধন করতে দেননি। সংশ্লিষ্টরা তাকে নানাভাবে বুঝিয়েও রাজি করাতে না পেরে কাজ উদ্বোধন না করেই ফিরে আসেন।
তবে বাধা দেয়ার বিষয়টি অপপ্রচার দাবি করে আওয়ামী লীগনেতা মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিক যদি বন্ধই করে দিতাম; তাহলে আমি তো জমি দিতাম না। তার দাবি, যে পাঁচ শতক জমিতে ভবন হচ্ছে তার দক্ষিণ ও উত্তর পাশে তিন ফুট করে জায়গা রেখে ভবন নির্মাণ করতে চায় প্রকৌশলীরা। এতো জায়গা বাদ দিয়ে ভবন করা উচিত না। তাছাড়া পুরনো ভবনের সেই ইট এখনো সরানো হয়নি। তার উপরেই প্রকৌশলীরা নতুন ভবনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। সঠিকভাবে এই ভবন নির্মাণ হবে কিনা সন্দেহ। তাছাড়া প্রকৌশলী ও সিভিল সার্জনের লোকজন আমাদের অপমান করেছে। সঠিকভাবে পরিকল্পনা করেই ভবন করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ^াস বলেন, ঠিকাদার নিয়োগ ও কার্যাদেশ সম্পন্ন থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগনেতার বাধার কারণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা যায়নি। আমরা পরবর্তীতে স্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবো।
