নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ছুরিকাঘাতের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। একের পর এক ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর এ সব ছুরিকাঘাতের বেশির ভাগ ঘটনার সাথে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। সম্প্রতি ৩১ মার্চ রাতে শহরের পূর্ববারান্দি নাথপাড়া ও শহরতলীর শেখহাটিতে ছুরিকাঘাতে দুইজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এক সপ্তাহ পর অর্থাৎ ৭ মার্চ সকালে প্রকাশ্যে আবারো ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। সদরের কিসমত নওয়াপাড়া বাজারে উচ্ছৃংখল কিশোররা চা দোকানি সাগর নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। ঘটনাস্থল থেকে উপশহর ফাঁড়ির দূরত্ব প্রায় ২শ গজ। আহত সাগরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার বলেছেন, সাগরের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক।
সূত্র মতে, পূর্বশত্রুতা ও বাকি খাওয়ার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র চা দোকানি সাগর হোসেনকে (৩০) ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ সময় দোকান থেকে ১০ হাজার ৩শ টাকা লুট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহত সাগর উপশহর ই ব্লক কলা বাগানের বাসিন্দা আব্দুল ওহাবের ছেলে। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আহত সাগরের ছোট ভাই সৈকত হোসেন কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলো যশোরের উপশহর দীঘির পাড় বস্তির মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে রায়হান, সহযোগী আব্দুল্লাহ ও মাহফুজসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন। ঘটনাটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করা হবে বলে কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এ কে এম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। আসামিদের আটকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
সৈকত হোসেন অভিযোগে বলেন, তার বড় ভাই সাগর হোসেনের সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়ার কাঁচা বাজারের একটি চায়ের দোকান আছে। শুক্রবার ৭ এপ্রিল বেলা ১১ টায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী রায়হান, আব্দুল্লাহ, মাহফুজসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বাদীর ভাই সাগর হোসেনের চায়ের দোকানে প্রবেশ করে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই পূর্ব শত্রুতার কারণে চিহ্নিত সন্ত্রাসী রায়হান সাগর হোসেনকে খুন করার উদ্দেশ্যে ধারালো চাকু দিয়ে শরীরের পিছনের অংশে পরপর ৪/৫টি আঘাত করে। আব্দুল্লাহ ধারালো ছুরি দিয়ে সাগরের দুই পায়ের উরুতে ২/৩টি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্য আসামিরা বাদির ভাইকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে জখম করে। সন্ত্রাসী মাহফুজ সাগর হোসেনের চায়ের দোকানের ক্যাশবাক্সে থাকা ১০ হাজার ৩শ টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। সন্ত্রাসীরা দোকানের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৫ হাজার টাকা ক্ষতি করে। চায়ের দোকানদার সাগর হোসেনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা এগিয়ে গেলে আসামিরা জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সাগর হোসেনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্র মল্লিক জানান, তার মাজার নিচের অংশে নয়টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত শফিকুল আলম চৌধুরী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২ Comments
Pingback: সবজির বাজার চড়া: অস্বস্তিতে ক্রেতা
Pingback: যশোরে মাদকসহ ছয় কারবারী আটক