নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিলেন না যশোরের কৃষকরা। যেকারণে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র সাড়ে ১৫ শতাংশ ধান সংগ্রহ হয়েছে। তবে রাইস মিল মালিকরা চুক্তিবদ্ধ থাকায় চাল সংগ্রহ হয়েছে শতভাগ।
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে যশোরে চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ৬৫৩ মেট্রিকটন। সোমবার ছিল সংগ্রহের নির্ধারিত শেষ দিন। এদিন পর্যন্ত শতভাগ চাল সরবরাহ করেছেন মিলাররা। আর ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ১৫৫ মেট্রিক টন। যার মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে এবার এক হাজার ২৭০ মেট্রিক টন। সরকার ৪০ টাকা কেজি চাল ও ২৭ টাকা কেজি দরে ধান কিনেছে।
ঝিকরগাছার উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা জানান, সরকারের দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম কিছুটা বেশি। আবার সরকারের খাদ্য গুদামগুলোতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। যে কারণে আমরা সরকারকে ধান দেয়নি। মণিরামপুরের মনোহরপুর গ্রামের জবেদ আলী জানান, খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে অনেক নিয়ম কানুন রয়েছে। ধান ঝেড়ে ফ্রেশ ধান দিতে হবে। আবার বাজারের চেয়ে দাম কম। এ জন্য সব ধান বাজারে বিক্রি করেছি। যশোরের ইলা অটো রাইস মিলের স্বত্তাধিকারী শরিফুল আলম জানান, আমরা সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ চাল সরবরাহের জন্য। এতে আমাদের লাভ লোকসান যাই হোকনা কেন চাল দিয়েছি।
যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্য নন্দ কুন্ডু জানান, ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর আমাদের ধান-চাল সংগ্রহ শুরু করা হয়। ২৫৯ জন মিলারের সাথে চুক্তি ছিল। তারা আমাদের চাল সরবরাহ করেছেন শতভাগ। তবে বাজারে ধানের দাম সরকারের সংগ্রহের দাম প্রায় এক হওয়ায় আমাদেরকে ধান দিতে অনাগ্রহ দেখিয়েছে কৃষক। যে কারণে ধান সংগ্রহ হয়েছে সাড়ে ১৫ শতাংশ।