নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে প্রিয়ন্তী দে নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ওই গৃহবধূ। তার পরিবারের দাবি, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত করে আসল রহস্য বের করা হবে।
প্রিয়ন্তী শহরের চুড়িপট্টি এলাকার নয়ন দে’র স্ত্রী ও খুলনার রূপসার তালিমপুর গ্রামের দিলীপ দে’র মেয়ে। ঘটনার পর তার স্বামী নয়ন দে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
স্থানীয় অজয় জনান, শনিবার (১৩ জুলাই) ছিলো নয়ন ও প্রিয়ন্তীর প্রথম বিবাহবার্ষিকী। তাদের মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো। শনিবার রাতে হঠাৎ জানতে পারি প্রিয়ন্তী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ওই রাতেই নয়নসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এবিষয়ে মৃতের বাবা দিলীপ দে অভিযোগ করে বলেন, এটা পরিকল্পিত হত্যা। তার মেয়ের মৃত্যুর পর তাদেরকে খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের মেয়ে শনিবার থেকে হাসপাতালে ভর্তি। নির্যাতনের ফলে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রিয়ন্তী বিয়ের পর থেকে অশান্তিতে ছিলো। তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো নয়ন ও তার মা।
এবিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।