নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত যশোরে গ্রাম আদালতে ৬৭০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদে ৫৪৫টি এবং জেলা আদালত থেকে পাঠানো হয় ১২৫টি। যার মধ্যে দেওয়ানি ৩২৫ ও ফৌজদারি ৩৪৬টি। দায়েরকৃত মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৬০৩ টি।
এছাড়াও ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভায় এতথ্য জানানো হয়। দাতা সংস্থা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ এই সভার আয়োজন করে।
সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার যশোরের উপপরিচালক রফিকুল হাসান। তিনি জানান, উচ্চ আদালতের মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে সরকার গ্রাম আদালতকে সক্রিয়করণ করছে। অথচ গ্রাম আদালত সম্পর্কে মানুষ জানে না। মানুষের মধ্যে প্রচারণা বৃদ্ধির জন্যই আজকের এই সমন্বয় সভা।
সভায় বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার অ্যাডভোকেট মহিতোষ কুমার রায় প্রকল্প পরিচিতি, সভার উদ্দেশ্য, গ্রাম আদালত বিষয়ে প্রচার, অংশগ্রহণকারীদের করণীয়, গ্রাম আদালত আইন এবং প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে আলোকপাত করেন।
সভার উন্মুক্ত আলোচনায় দৈনিক কল্যাণের সম্পাদক ও প্রকাশক একরাম-উ-দ্দৌলা বলেন, যদি গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করা যায়, তাহলে কোর্টে মামলার চাপ কমে আসবে। স্থানীয় বিরোধ স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি হবে, কোন উকিল রাখার বিধান নেই। ফলে মানুষ হয়রানিমুক্ত হয়ে বিচার পাবে। থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে যাতে গ্রাম আদালতে পাঠায় সে বিষয়ে পুলিশকে সচেতন করতে হবে।
সভায় পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান বলেন, গ্রাম আদালত অত্যন্ত সুন্দর একটি বিচার ব্যবস্থা। আমি মনে করি গ্রাম আদালত শক্তিশালী হলে পুলিশের অনেক কাজ কমে আসবে।
সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রাইটস যশোর, জয়তী সোসাইটি, শিশু নিলয় ফাউন্ডেশন, স্যালভেশন আর্মি, আরডিআরএস বাংলাদেশের প্রতিনিধিবৃন্দ।
