নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা আব্দুর রহিম ওরফে মুরগি রহিমসহ দুইজনকে ইয়াবাসহ আটক করেছে পুলিশ। ইয়াবা ও ফেনসিডিল তৈরি করা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ব্যবহার করে অন্য কারবারিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করাসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে তাদের বাড়ির সামনে থেকে আটক করা হয়। আটক মুরগি রহিম শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া জামতলার মৃত নান্নু শেখের ছেলে এবং অপর আটক একই এলাকার ফরিদুল ইসলামের ছেলে মাহমুদ হাসান।
চাঁচড়া ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মামুন উর রশিদ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে মুরগি রহিম এলাকায় মাদকের কারবার করছে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফাঁড়ির এসআই সবুজ গাজীর নেতৃত্বে একটি টিম রহিমের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ দেখে দু’জন লোক সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। পরে পালানোর কারণ জানতে চাইলে তাদের কাছে ইয়াবা আছে বলে পুলিশকে জানায়। এসময় তাদের দু’জনের কাছ থেকে ৩৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় রাতেই তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দেয়া হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরে মাদক কারবার জগতে মুরগি রহিম একটি পরিচিত নাম। ইয়াবা ও ফেনসিডিল তৈরীতে যশোরে আলোচিত ব্যক্তি মুরগি রহিমের নাম মানুষের মুখেমুখে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রি করে আসছিলেন। স্ত্রী দুলারী ও মেয়ে সুরাইয়া তার মাদক কারবারে সহযোগি হিসেবে কাজ করে। আবার তার মেয়ের স্বামী রনি, শ্বশুর বাবু এবং শাশুড়ি রওশনারা রহিমের তৈরি করা মাদক বিক্রি করেন।
এছাড়া রহিম নিজেকে প্রশাসনের সোর্স পরিচয় দিয়ে অন্য মাদক কারবারীদের কাছ থেকেও হিস্যা আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একসময় মুরগি রহিম বেনাপোল-যশোরগামী বাসেও তল্লাশি করে মাদক এবং চোরাচালান প্রশাসনের নাম করে আত্মসাৎ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রহিমের বিরুদ্ধে মাদকের প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে।
