নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ছাত্রদল নেতা হাসেম আলী হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে ২০২৪ সালে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় একই উপজেলার শ্রীপর্দ্দি-ঘোড়াগাছা গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।
নিহতের ভাই কাসেম আলী বাদী হয়ে সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাসেম বিশ্বাসসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এই ঘটনায় আর কোন মামলা হয়েছে কিনা আগামি দশ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
অন্য আসামিরা হলেন, শ্রীপর্দ্দি-ঘোড়াগাছা গ্রামের মৃত তবজেল মোড়লের ছেলে নজর আলী খোকা, চাউলিয়া গ্রামের সামাদ কলুর ছেলে মিজানুর রহমান ভুট্টো, মুস্তা মাস্টারের ছেলে রিপন হোসেন, নূর আলী বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর বিশ্বাস ও শাহাবাটি গ্রামের মৃত জব্বার গাজীর ছেলে শাহাবুদ্দিন গাজী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট তাহমিদ আকাশ।
বাদী মামলায় বলেছেন, তার ছোট ভাই হাসেম আলী যশোর সরকারি সিটি কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আসামিরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিলো। পাশাপাশি তারা এলাকায় নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করতেন। বাদীর ভাই ছাত্রদল নেতা হাসেম আলী তাদের অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসেম আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট তার মাথা ড্রামের পানির মধ্যে চেপে ধরে শ্বাসরোধে এবং কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এসময় জীবন ভিক্ষা চেয়ে এবং ছাত্রদলের রাজনীতি আর করবেননা সেই শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তারপরও আসামিরা হাসেম আলীকে কয়েকটি নাশকতা মামলায় জড়িয়ে দেয়। পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে হাসেম আলী পালিয়ে থেকে সঠিক ভাবে যশোরে চিকিৎসা করাতে পারেননি। পরে তাকে ঢাকার পিজি হাসপাতাল এবং ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। সেখানেও সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে আস্তে আস্তে ২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর দুপুরে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় থানায় গেলে মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ। ফলে বাধ্য হয়ে আদালতে এই মামলাটি করা হয়েছে।
