নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে আলম হোসেন নামে মেট্রো কুরিয়ার অ্যান্ড পার্সেল সার্ভিসের দুই কর্মচারীর মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার সময় দুজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এ সময় ছিনতাই করা দুইটি মোবাইল ফোন এবং ছিনতাইকারীদের একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। রোববার রাত ১১টার দিকে শহরতলীর পালবাড়ি তেতুঁলতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী আসলাম হোসেন আটক দুইজনসহ তিনজনের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
আটককৃতরা হলো- শহরতলীর শেখহাটির নজরুল ইসলামের ছেলে আমিনুর রহমান এবং উপশহর ১৭৬ বি-ব্লকের উজ্জল হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে অনিক নামে আরো এক ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। সে উপশহর এ ব্লকের আব্দুল কাদেরের ছেলে।
বাদী আলম হোসেন সদর উপজেলার ছিলুমপুর গ্রামের বাসিন্দা। মামলায় বলেছেন, তিনি মেট্টো কুরিয়ার অ্যান্ড পার্সেল সার্ভিসের উপশহর অফিসে চাকরি করেন। রোববার রাত ১১টার দিকে আলম ও তার সহযোগী তৌহিদ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পথিমধ্যে পালবাড়ি তেতুঁলতলা মোড়ে পৌঁছানো মাত্র ওই ছিনতাইকারীরা একটি মোটরসাইকেলে এসে তাদের গতিরোধ করে। তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কাছে যা আছে তাই দিয়ে দিতে বলে। তিনি দিতে না চাইলে আসামিরা এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারে। এরপর তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোনসেট এবং ৩ হাজার ২৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তৌহিদের কাছ থেকে আরো একটি মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। এ সময় চিৎকার দিলে আসামি অনিক টাকা নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আর আশেপাশের লোকজন এসে আমিনুর রহমান ও পলাশকে আটকের পর গণধোলাই দেয়। এরপর ওই ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে। স্থানীয় লোকজন পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে হেফাজতে নেয়। তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ফোন দুইটি জব্দ করে। এই ঘটনায় তিনজনের নামে দস্যুতা আইনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।
