নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে হুমায়ন কবির ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বাধা দেওয়ায় জমির মালিক ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী শাপলা পারভীন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন হুমায়ন কবির (৪৫), মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (৪৪), আসমা মাহমুদ (৪০) ও মোস্তফা পাভেল রায়হান (৪৫)। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে শাপলা পারভীন উল্লেখ করেন, তিনি ২০০৮ সালে কোতোয়ালি থানাধীন খোলা ডাংগা এলাকার ৭৮নং মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৯২ নং খতিয়ানের ৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি অভিযুক্তরা ওই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত ২৯ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্তরা দলবদ্ধভাবে দা, কুড়াল ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার জমিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সীমানা ও রাস্তার সীমানার মধ্যে পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। অস্ত্র দেখিয়ে মারতে উদ্যত হয় এবং জীবননাশের হুমকি দেয়। তাদের হুমকিতে ভীত হয়ে তারা নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ার সাহস পাননি।
শাপলা পারভীন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অভিযুক্তরা যেকোনো সময় তাদের জমি ও রাস্তার জমির ওপর পাকা বাড়ি নির্মাণ করে জবরদখল করতে পারে এবং তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর ও বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। তিনি তার ক্রয়কৃত জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলের জন্য এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। জমি ও নির্মাণ কাজ নিয়ে যেকোনো সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন তিনি।
শাপলা বেগমের ছেলে হাসিব জাওয়াদ জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাবেক কাউন্সিলর টাক মিলনের নির্দেশে তাদের জমির সাইনবোর্ড খুলে ফেলে খোলাডাঙ্গা এলাকার আরেক সন্ত্রাসী শাওন। সেসময় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হয়। কিন্তু শাওনের নেতৃত্বে ওই জমি দখলের চেষ্টা চলমান থাকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হুমায়ন কবির ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাসনাত জানিয়েছেন, খোলাডাঙ্গা এলাকায় একটি জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।