নিজস্ব প্রতিবেদক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় কমিটি এ ঘোষণা দেয়ার পর যশোরের প্রার্থীরা নড়েচড়ে বসেছেন। তারা দলের মনোনয়ন পেতে তদ্বির শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতার ভাষ্য, জেলার ৬টি সংসদীয় আসনেই রয়েছে একাধিক প্রার্থী। ৬টি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত ১৫জন। তাদের একটি তালিকাও ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা পেড়েছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম পাটোয়ারীর দেয়া তথ্য মতে, স্বাধীনতা-উত্তর ৯টি সংসদ নির্বাচনেই জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করেছে। কখনো একক, কখনো নির্বাচন করেছে জোটগতভাবে।
এদিকে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা লবিং-তদ্বির শুরু করেছেন। বসে নেই যশোরের নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীরা। এ জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন চাইছেন অন্তত ১৫ জন নেতা। দলের সংকটকালে এক আসনে একাধিক প্রার্থী থাকায় বিরোধ-মনোক্ষুণ্ন বাড়বে কিনা সে প্রশ্ন সামনে এসেছে।
জানা গেছে, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একটি তালিকা ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জমা হয়েছে। এ তালিকায় যশোর-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন শার্শা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আক্তার হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক চঞ্চল মাহমুদ, জেলা সদস্য আমিনুর রহমান। যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মুফতি ফিরোজ শাহ, জেলা সদস্য অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম ও চৌগাছা শাখার সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন। যশোর-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, যশোর সদর উপজেলা জাপার আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ, কেন্দ্রীয় তরুণ পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট খবির গাজী। যশোর-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও বাঘারপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম জহির এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (সাবেক) মাসুদ।
যশোর-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন মনিরামপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল হালিম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাবিব। যশোর-৬ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন কেশবপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জিএম হাসান ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও যশোর-৩ আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী বলেন, দল প্রাথমিকভাবে নির্বাচনমুখী হয়েছে। ফলে দ্রুত সময়ে প্রার্থী বাছাই করতে হবে। যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদেরকে দলের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দলে একাধিক প্রার্থী থাকাটা স্বাভাবিক। যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনে অন্তত ১৫জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। সবদিক বিবেচনা করে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করবে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বোর্ড। বঞ্চিতরা বর্তমান বাস্তবতা মেনে নিয়ে দলীয় প্রতীক লাঙ্গল বিজয়ী করবে বলে তিনি আশাবাদী।
