নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের সিটি কলেজ পাড়া এলাকা থেকে বকচর ইসরাক সু কোম্পানির সেলসম্যান ফাহিম হোসেনকে (১৮) অপহরণ করে চাঁদা দাবি ও মারপিট করার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। অপহৃত ফাহিমের বড় ভাই ঝিকরগাছা উপজেলার বল্লা গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে বর্তমানে নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম অনিক (২০) মঙ্গলবার মামলা করেন।
মামলায় ২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ২জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া আমতলার হামিদের ছেলে বাপ্পি (২৭) একই এলাকার আব্দুর রশিদ ওরফে কানকাটা রশিদের ছেলে শাহরিয়ার রাব্বি (২৩)। এদের মধ্যে পুলিশ বাপ্পিকে আটক করেছে।
মামলায় আরিফুল ইসলাম অনিক বলেছেন, আমার ছোট ভাই ফাহিম হোসেন বকচর ইসরাক সু কোম্পানির কারখানায় সেলসম্যান হিসেবে কাজ করে। ১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১ টার সময় বাদির ছোট ভাই ওই কোম্পানির কারখানা থেকে বাড়িতে আসার পথে সিটি কলেজপাড়া গেটের সামনে পৌঁছালে বাপ্পি ও আরাফাত শাহরিয়ার রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা ২জন আসামি ফাহিম হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। একটি নির্মাণাধীন ভবনের মধ্যে নিয়ে তাকে আটক করে রাখে। এক পর্যায় বাপ্পি ফাহিম হোসেনের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। ফাহিম চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বাপ্পি, ফাহিম হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। সন্ত্রাসীরা ফাহিম হোসেনের মোবাইল নাম্বার থেকে তার অফিসের বসের নাম্বারে ফোন দিয়ে চাঁদা চায়। এক পর্যায় ফাহিম হোসেনের বস বিশ^াস করে ফাহিম হোসেনের ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বারে ৫ হাজার টাকা সেন্ড করে। কিন্ত আসামিরা দাবিবৃত চাঁদার আরো ১৫ হাজার টাকা না দিলে ছাড়বে না বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে।
ফাহিম হোসেনকে না পেয়ে ১৭ এপ্রিল যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন তার পরিবার। এক পর্যায় ১৭ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৬ টায় বাদির ছোট ভাই ফাহিম হোসেন আসামিদের নিকট থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার পর পুলিশ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অপহরণকারী বাপ্পিকে গ্রেফতার করে। বুধবার ১৯ এপ্রিল তাকে আদালতে সোপর্দ করে।
