নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ‘জুলাই শহিদ দিবস’ পালিত হয়েছে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক কালেক্টরেট চত্বরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা ১১ টায় যশোর শিল্পকলা একাডেমি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। আলোচনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী, লেখক গবেষক সাংবাদিক বেনজিন খান, শহিদ পরিবারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্যাতন বিরোধী শিক্ষার্থী, তার মা বাবা ভাইসহ দেশের সকল স্তরের মানুষ এই লড়াইয়ের মূল কৃতিত্বের দাবিদার। এই জুলাই বিপ্লবের কৃতিত্ব কোন একক দল বা ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়।
জুলাই আন্দোলনের মূল স্প্রিট ছিলো বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলা। বিগত ১৫ বছর হাসিনা রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরকে ধ্বংস করে গেছে। পরিস্থিতি যখন সকল সীমা অতিক্রম করেছিল তখনই ছাত্র সমাজ রাপথকে বেঁছে নিতে বাধ্য হয়েছিলো। বন্দুকের নলের সামনে ছাত্ররা বুক চেতিয়ে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিল। যার কারণেই হাসিনাসহ তার দোসররা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। সব শেষে শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।