নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশের ন্যায় যশোরেও পালিত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস। এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো সারাদেশে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ১২ ডিসেম্বরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে প্রথমে বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। এর পর জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা। পরবর্তী সময়ে এসে রূপকল্প-২০২১ ঠিক করা হয়। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার ১২ ডিসেম্বর তারিখটি রাষ্ট্রীয়ভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালনের ঘোষণা দেয়।
২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আইসিটি দিবসের পরিবর্তে এ দিনকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর দিবসটি পালন করে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল বাস্তবায়ন বিষয়ে আইসিটি বিভাগ জানিয়েছে, প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানসহ ৬ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ফ্রিল্যান্সার পেশাজীবী তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৮ কোটি ১৪ লাখের বেশি মোবাইল সংযোগ, ১৩ কোটির বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ৩ হাজার ৮০০ ইউনিয়নে সফলভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতায় মানুষের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষমতা যেমন বেড়েছে তেমনি তাদের দৈনন্দিন জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।