নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর বাজারে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির করতে গেলে দুই যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় মামুনের অটো রিকশার গ্যারেজে। আটককৃতরা হলো আড়পাড়ার রেন্টু ও জামরুল তলার সবুজ। তবে এ ঘটনার মূল হোতা রাজারহাট ধোপাপাড়া এলাকার ফিরোজ এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায় , গত শুক্রবার সকালে ফিরোজ ও রেন্টু একটি রিকশা নিয়ে আসেন মামুনের গ্যারেজে। তখন ফিরোজ বলেন, এই রিকশা আমি আর চালাব না, কেটে বিক্রি করব। পরবর্তীতে মামুন সেটি কেটে ফেলেন। পরে ফিরোজ ও রেন্টু রিকশার ব্যাটারি ও ৪ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে পরে আসছি বলে চলে যান। পরের দিন আবার এসে ফিরোজ ৪৫শ’ টাকার রিক্সার যন্ত্রাংশ রেখে বাকি মালামাল নিয়ে চলে যায় ।
এরপর এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মামুনকে চোরাই মালামাল বিক্রির অভিযোগে হুমকি দেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ডিবি পরিচয়দানকারী সবুজ ফিরোজের সাথে থাকা রেন্টুকে সঙ্গে নিয়ে মামুনের দোকানে আসেন। এক পর্যায় মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। অন্যথায় আটকের হুমকি দেয়। এ সময় রেন্টু নিজে চোরাই রিক্সা বিক্রির সাক্ষী দেন। মামুন আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। ঘটনাস্থলে আসেন ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি অহিদুজ্জামান দুলি ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শফিকুল ইসলামসহ অনেকেই। এক পর্যায় তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, খবর পেয়ে চাঁনপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই যুবককে হেফাজতে নেয় এবং মামুনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, ফিরোজের সঙ্গে মামুনের পূর্ব থেকেই সম্পর্ক রয়েছে। সেখানে কয়েকজন স্থানীয় নেতারও নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। এসব বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: বাঁচতে শেখায় দুদিনের মেডিকেল রিহ্যাবিলিটেশন স্কিনিং ক্যাম্প