নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদরের সর্বস্তরে মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে নবাগত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে বরণ করে নিয়েছেন। মঙ্গলবার যশোর-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়কের বিজিবি ক্যাম্পের সামনে থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় পর্যন্ত নারী-পুরুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
পরে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে উপজেলা কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এরপর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর নিজ কার্যালয়ে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল বলে তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে বিজয়ী করতে পেরেছি। এ নির্বাচনে অনেক ষড়যন্ত্র পার করে ফন্টুকে নির্বাচিত করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ যশোরে থাকবে কি থাকবে না, সেই ষড়যন্ত্রও ছিল এ নির্বাচনে। সদর উপজেলা নির্বাচনে গোপনে বিএনপি-জামাত নির্বাচন করেছে। তিনি আরও বলেন, সদর উপজেলা মরা জায়গা হয়েগিয়েছিল। বিগত চেয়ারম্যানের আমলে টুপিওয়ালা, দাঁড়িওয়ালা ও শিক্ষকরা আসতো না লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে। এখন সব উন্মুক্ত। আপনারা যে আশা নিয়ে ফন্টুকে ভোট দিয়েছেন। সব আশা পূর্ণ হবে।’
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, তৃণমূলের মানুষ চাওয়ায় তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। গরীব-দুখী মানুষের চাওয়া পাওয়া পূর্ণ করবে। উপজেলা পরিষদের দুয়ার সব সময় খোলা থাকবে। আশা করি কারো চোখে পানি ফেলে বাড়িতে যেতে হবে না। সবাই সবার কাজ করে বাড়ি ফিরবে। সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হওয়ার আগে সদরের রাস্তাঘাট কাদায় ভোরে থাকতো। মানুষ চলাচল করতে পারতো না। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর রাস্তা পাকা করেছি। যেখানে পাকা করা সম্ভাব হয়নি সেখানে ইটের সলিং করে দিয়েছি। ১৫টি ইউনিয়নকে ঢেলে সাজিয়েছিলাম। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের পরামর্শে কাজ করেছি। যার ফলে ৫জুন নির্বাচনে তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু বিজয়ী হয়েছে। ফন্টু হাত ধরে আবারও উন্নয়ন শুরু হবে। সদরের মানুষ আবারও বয়স্ক, বিধবা, পঙ্গু ভাতাসহ সকল ধরণে সুবিধা সঠিক সময় পাবে। তিনি জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ করে বলেন, কেউ যেন সেবা না পেয়ে বাড়ি না ফিরে। সবার সেবা দুয়ারে পৌঁছে দিতে হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে। গরীব-দুখী মানুষের পাশে থেকে সেবা দিবেন।’
যশোর সদর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু বলেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে আমাকে চেয়ে নিয়েছিলেন। আপনারা আমাকে বিজয়ী করে জেলা আওয়ামী লীগকে সম্মানিত করেছেন। এজন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনরা যে আশায় আমাকে বিজয়ী করেছেন, সে আশা বিফলে যাবে না। আমার ভাই শাহীন চাকলাদারের উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে পারি এজন্য সবাই দোয়া করবেন।
পরিচিতি অনুষ্ঠানের সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, সাবেক মহিলা ভাইসচেয়ার জ্যোৎন্সা আরা বেগম মিলি। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু’র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোশারফ হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, চাঁচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম রেজা, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর তুহিন, দেয়াড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস, কচুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান ধাবক, পৌর কাউন্সিলার আলমগীর কবির সুমন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউসুফ শাহিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামত উল্লাহ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস, পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রনি প্রমুখ।