নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার কচুয়ায় আটকে রেখে চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায় করাসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় চারজনের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ তিনজনকে দুইটি চাকুসহ আটক করেছে। শহরতলীর শেখহাটির আশরাফুল জামানের ছেলে আরাফাত জামান সোমবার মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে শহরের ঘোপের লিটন হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন, ঘোপ নওয়াপাড়া রোড মাহমুদুর রহমান স্কুলের সামনে মৃত আজাফর খাঁর ছেলে সুজন খাঁ, শহরের খালধার রোড বরফকল মোড় করিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া কামাল হোসেনের ছেলে রাশেদ হোসেন ও শহরের ঘোপ বেলতলার রাজু হোসেনের ছেলে আরাফাত। এদের মধ্যে পুলিশ মামুন হোসেন, সুজন খাঁ, ও রাশেদ হোসেনকে আটক করে। মামুন হোসেন ও রাশেদের কাছ থেকে দুইটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
মামলায় আরাফাত জামান বলেছেন, আসামি আরাফাত আগে থেকেই আমার নিকট বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছিলো। এর সূত্র ধরে ১৯ মার্চ রাতে কচুয়া বাজারস্থ ভাঙা ব্রিজের কাছে নিয়ে আমাকে ও আমার ভাইকে মামুন হোসেন ও রাশেদ হোসেন বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে আসামি রাশেদ হোসেন ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামি সুজন আমার জিন্সের প্যান্টের পকেটে থাকা মানি ব্যাগ থেকে ১১ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে খুন করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আমি ও আমার ছোট ভাই চিৎকার দিই। স্থানীয়রা এসে আসামি মামুন হোসেন ও সুজনকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় আসামি রাশেদ ও আরাফাত কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশে খবর দিয়ে আসামি মামুন হোসেন ও সুজনকে তাদের হাতে সোপর্দ করা হয়।
আটক মামুন হোসেনের দেহ তল্লাশি করে একটি স্টিলের বার্মিজ চাকু, সুজনের দেহ তল্লাশি করে চাঁদার ১১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পলাতক আসামিদের গ্রেফতার অভিযান পরিচালনাকালে সোমবার খালধার রোড বরফ কল মোড় করিমের বাড়ির ভাড়া বাসা থেকে আসামি রাশেদ হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় রাশেদের শয়ন কক্ষ তল্লাশি করে বিছানার নিচ থেকে একটি কালো রঙের স্টিলের চাকু উদ্ধার করা হয়।