নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে নাশকতা পরিকল্পনা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। একই সাথে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দুই মামলার ৬৮ নেতাকর্মীর অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে কোতোয়ালি থানার এসআই অমৃত লাল দাস ও ঝন্টু কুমার বসাক আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযুক্তরা হলো, যশোর শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়ার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের চেলে আজগার হোসেন খোকা, শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আক্তারুজ্জামান, সদর উপজেলার হাটবিলা গ্রামের মৃত আমিদ আলী মোল্যার ছেলে আব্দুর রশিদ, রূপদিয়ার মৃত আব্দুস শুকুরের ছেলে বিল্লাল হোসেন, ভেকুটিয়া গ্রামের মাঠপাড়ার মৃত ইসহাক মোল্যার ছেলে ইবাদ আলী মোল্যা, সিরাজসিংহা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে বাবলু মিয়া, উত্তর ললিতাদহ গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত হায়দার আলীর ছেলে জহুরুল ইষলাম, তপসীডাঙ্গার মৃত মফিজুল্লাহ মাস্টারের ছেলে আবু তাহের ভুইয়া এবং এড়েন্দা গ্রামের হাজিবাড়ির মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল মোতালেব।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১১ অক্টোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানতে পারে যশোর সদরের রাজাহাট-মণিরামপুর মহাসড়কে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। ওইদিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে ৬ জনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বাঁশের লাঠি ও বিস্ফোরিত বোমার অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার তৎকালিন এসআই তুহিন বাওয়ালী বাদী হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে আটক ৬ জনসহ ৩৫ জনের নামউল্লেখ করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই চার্জশিট জাম দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ওই ২৮ জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। অভিযুক ৬ জনকে চার্জশিটে আটক দেখানো হয়েছে।
অপরদিকে, ২০২৩ সালের ১১ অক্টোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সদর উপজেলার লেবুতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫ টি বোমা, বাঁশের লাঠি ও ইটের খোয়া উদ্দার করা হয়। আটক আসামিসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাস্তার উপরে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এ ঘটনায় আটক তিনজনসহ ৪৩ জননের নামউল্লেখ করে ওই দিন কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন ফুলবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের তৎকালিন এসআই পবিত্র বিশ^াস। তদন্ত শেষে আটক আসামিদের তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় এজাহারনামীয় ৪০ জনের অব্যহতি চেয়ে চার্জশিটে আবেদন করা হয়েছে আদালতে। চার্জশিটে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক দেখানো হয়েছে।