জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: যশোর শহর এখন উৎসবের নগরী। মিছিলে মিছিলে শহর মুখরিত। নজিরবিহীন ব্যস্ততায় কাটছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। মহাব্যস্ত শ্রমিকরা। তারা রাস্তা-ঘাট ঘষে-মেজে ঝকঝকে করছেন। কেউ আবার দেয়ালে দেয়ালে দৃষ্টিনন্দন রং করছেন।
একই সঙ্গে দ্রুত এগিয়ে নেয়া হচ্ছে তোরণ ও অভ্যর্থনা গেট নির্মাণের কাজ। নৌকার আদলে বক্তৃতা মঞ্চ তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। খাওয়া-ঘুম নেই ট্রাফিক পুলিশের। ৪ সহ¯্রাধিক গাড়ি পার্কিংয়ে ট্রাফিক পুলিশ নির্ধারণ করেছে ১০টি স্থান। অবশ্য শেষ মুহূর্তে বাড়তে পারে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান।
সব প্রস্তুতির লক্ষ্য একটাই- ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার যশোরের জনসভা। ৫০ বছর আগে যশোর স্টেডিয়ামে ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেই স্মৃতিবিজড়িত মাঠেই ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, এরমধ্যে নানারুপে সাজানো হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর। শহরের মুজিব সড়ক, সিভিল কোর্ট মোড়, শহীদ সড়ক এবং শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা থেকে একদম বিমানবন্দর সড়ক ও আশপাশের এলাকা। রিকশাচালক গৌরপদ জানান, এসব এলাকায় এখন ভাত ঢেলে খাওয়া যাবে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন জানান, ঐতিহাসিক ও স্মৃতিবিজড়িত স্টেডিয়াম মাঠে স্মরণকালের সর্ব বৃহৎ জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। নৌকার আকৃতির মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। জনসভায় ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শহিদুল ইসলাম মিলন আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে কোম্পানির মাইকে ভাষণ দিয়ে জাতিকে জাগ্রত করেছিলেন, এবার যশোরে আসছে সেই কলরেডি কোম্পানির ৩শ মাইক। ফলে নিখুঁত সাউন্ড সিস্টেম যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি বঙ্গবন্ধুকেও স্মরণকালের জনসভায় স্মরণ করা হবে। সবকিছুর আয়োজনে রয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত ৮ উপ-পর্ষদ।
সোমবার প্রচার মিছিলে অংশ নেয়া ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান- ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজপথে প্রচার মিছিল চলবে। স্ব-স্ব সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এমনি নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানান এসব নেতাকর্মী।
যশোর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান, জনসভার দিন শহরে যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। যানজট এড়াতে পথচারীদের জন্য রোড ম্যাপ করা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ সতর্ক থাকবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় প্রাইভেটকার, মাইক্রো ও বাস মিলে ৫ হাজার গাড়ি আসা-যাওয়া ও পার্কিংয়ের জন্য ১০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪টি স্থানে মন্ত্রী-এমপি ও একটিতে অন্যান্য ভিআইপি এবং বাকি ৫টি স্থানে দলীয় নেতাকর্মীরা গাড়ি পার্কিং করতে পারবেন।