এসআই ফারদিন: সারাদেশের ন্যায় যশোরে সরকারি বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদন বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। শহরের নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকরাও ভর্তি-যুদ্ধে নেমে পড়েছেন। সন্তানকে পছন্দের স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য অভিভাবকদের যেন ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
গত সোমবার (১৪ নভেম্বর) ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। ভর্তি আবেদন শেষ হবে আগামী ৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে এবারও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দক্রম দিয়ে সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় দিতে পারবে। সেই খবরে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ চিন্তিত রয়েছেন।
সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি হবে ১০ ডিসেম্বর। আর বেসরকারি স্কুলের লটারি ১৩ ডিসেম্বর। ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির যাবতীয় কাজ শেষ করা হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে লটারি ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষা নেয়া যাবে না। যশোর শহরের ৩টি সরকারি বিদ্যালয়ে বুধবার থেকে ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। সরকারি বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোও ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। কয়েক বছর ধরেই পছন্দের স্কুলে সন্তানদের ভর্তির জন্য রীতিমতো যুদ্ধে নামতে হচ্ছে অভিভাবকদের। এ জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাই চাপে থাকে। এবার সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদনপত্রের দাম রাখা হয়েছে ১১০ টাকা।
যশোরে ৩টি সরকারি বিদ্যালয় জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে (মোমিন গার্লস) ও যশোর শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ৩য় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১৬ নভেম্বর থেকে ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফরম বিতরণ ও জমা নেয়া চলবে। জিলা স্কুলে এবার ৩য় শ্রেণিতে প্রভাতি ও দিবা ২ শিফটে ২৩৭ জন, মোমিন গার্লসে ২৩৮ জন ও বোর্ড স্কুলে এক শিফটে ৬০জন ভর্তি করা হবে।
শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা আবু সালেহ মোহাম্মাদ জানান, তার মেয়ে একটি বেসরকারি স্কুলে বরাবর প্রথম হয়ে আসছে। এবার ক্ষুদে ভর্তি যুদ্ধে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে (মোমিন গার্লস) ভর্তির জন্য ফরম কেনেছি। এখন লটারিতে চ্যান্স পাবে কিনা টেনশনে রয়েছি। পরীক্ষা হলে এই টেনশনটা থাকতো না।
সদরের বিরামপুরের তাসফিয়া তাসফির মা হাফসা তানভীর জানান, পাশের বাসার ভাবির সাথে এসে যশোর শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তির জন্য ফরম কিনেছি। যেহেতু লটারির মাধ্যমে সিট নির্ধারণ করা হবে। সেক্ষেত্রে চান্স নিতে দোষের কিছু নেই। সরকারি স্কুলে নিজ সন্তানকে পড়ালেখা করাতে কে না চাই?
তবে অন্যান্য শ্রেণিতে ভর্তির ব্যাপারে জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শোয়াইব হোসেন বলেন, বার্ষিক পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার ফলাফলের পরে সিট অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: মণিরামপুরে গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে স্বামী শ্বশুরের নামে মামলা