নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে নিম্ন আয়ের আরও ২৭টি পরিবারের পাশে দাঁড়ালো আব্দুর রশিদ খান ঠাকুর ফাউন্ডেশন (এআরকেটিএফ)। বৃহস্পতিবার এই পরিবারগুলোতে ব্যবসার উপকরণ ও বিনিয়োগের পুঁজি প্রদান করা হয়েছে। যশোর শহরের বকচর এলাকায় ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে পরিবার প্রতি দশ হাজার টাকার উপকরণ বা পুঁজি প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এআরকেটিএফ’র চেয়ারপারসন কাজী নাজির আহমেদ মুন্নু’র সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ মার্সেল রোজারিও। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিন, প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম সম্পাদক মিলন রহমান ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক যশোরের এক্সিকিউটিভ অফিসার নাসিম উদ্দিন ইমন।
ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী আব্দুর রহমান জানান, ‘ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম হ্রাসের মাধ্যমে শিশু সুরক্ষা ও উন্নয়ন সাধন প্রকল্পের’ আওতায় এই সহযোগিতা করা হয়েছে। যে পরিবারগুলোর শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের সাথে জড়িত, সেই পরিবারের পিতামাতাকে এই আর্থিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। যাতে তারা এই বিনিয়োগের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি করে পরিবারে আরেকটু আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে সরিয়ে নিতে পারেন। প্রকল্পের আওতায় এদিন ২৭ পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান করা হলো। এর আগে আরও ২২ পরিবারকে একই ধরণের সহযোগিতা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ১০৭টি পরিবারকে ধারাবাহিকভাবে এই সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া ভ্যানচালক শহরের বকচর এলাকার বাসিন্দা আয়নাল মোড়ল জানালেন, তার তিনটি সন্তান এখন স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করছে। তিনি এই টাকা দিয়ে তার ভ্যানে ব্যাটারি ও মোটর লাগাবেন। এতে তার আয় বাড়বে এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখতে পারবেন।
শংকরপুর চোপদারপাড়া এলাকার ফাতেমা খাতুন জানালেন, তিনি সেলাই মেশিন ও গজকাপড় নিয়েছেন। বাড়িতে তিনি দর্জির কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বকচর এলাকার ফিরোজ খান জানালেন, তিনি কবুতর পালন করেন। এই টাকা দিয়ে তিনি কবুতরের খামার করে ব্যবসাকে বৃদ্ধি করবেন।