নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ঊর্ধ্বতন হিসাব সহকারী মহাসিন আলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত সাত কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহাসিনের দুর্নীতি তদন্ত ও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত সাতজন কর্মচারীকে পুনর্বহালের দাবিতে রোববার মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার সকালে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পানিসম্পদ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, মো. মহাসিন আলী দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন। দীর্ঘ সময়ে তিনি শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পদবী ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আউটসোর্সিং নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এবং নিজের স্বজনদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় যে, সম্প্রতি আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ৩১ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হলেও দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত সাতজনকে অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়া কর্মচারীদের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে ঘুষ নিতে না পারায় তাঁদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও স্মারকলিপিতে আনা হয়েছে। এমনকি বয়স ও যোগ্যতা পূর্ণ না থাকা সত্ত্বেও অর্থের বিনিময়ে কিছু প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, দুর্নীতি ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অভিযুক্ত মহাসিন আলী বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। তাঁরা দ্রুত এই দুর্নীতির তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি চাকরিচ্যুত ৭ জন কর্মচারীকে পুনর্বহালের জোর দাবি জানান।
স্মারকলিপিটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পানি সম্পদ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে চাকুরিচ্যুত দীপংকর দাস, রাজু আহমেদসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।