নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে স্কুলে ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের আলামত নষ্ট করে দেয়া ও সহযোগিতার অভিযোগে এক দম্পতি বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা পিটিশন কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিরা হলো, সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি দোগাছিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবু (২৫) ও তার স্ত্রী মাহফুজা (২২)।
ওই স্কুলছাত্রীর মা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে (১০) একটি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২ আগস্ট তার মেয়ে স্কুলের বিরতির সময় পরবর্তী ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। দুপুর দেড়টার দিকে আসামি হাবু স্কুলে যায়। এবং তার মেয়েকে বলে ‘চল তোর খালার বাড়ি দেখে আসি আর মিষ্টি খেয়ে আসি।’ তার মেয়ে সরল বিশ্বাসে তার সাথে গেলে স্কুলের পাশেই একটি পাটক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার পরনের ইউনিফর্ম খুলে ধর্ষণ করে। সে সময় চিৎকার দিলে হাবু পালিয়ে যায়। পরে তার মেয়ের যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হলে সে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গিয়ে বিষয়টি বলে। এবং তাকে সংবাদ দিলে তিনি সেখানে গিয়ে তার মেয়েকে দেখে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হাবু ও তার স্ত্রী তাদের গতিরোধ করে এবং কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে। তিনি বিষয়টি ডাক্তারকে জানাবেন এবং মামলা করবেন বললে হাবু ও তার স্ত্রী তার মেয়েকে চড় মারে এবং বিষয়টি অন্য কিছু বলে চালিয়ে দিতে বলে। পরে তিনি হাসপাতালে তার মেয়েকে ভর্তি করে দুর্ঘটনায় আহত বলে। এরপর তার মেয়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি খুলে বললে তিনি আশপাশের লোকজনকে জানান এবং আদালতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি পিটিশন দাখিল করেন। আদালত পিটিশনটি আমলে নিয়ে সাত কার্যদিবসের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তা গত বৃহস্পতিবার মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।
