নিজস্ব প্রতিবেদক :
যশোরে পুত্রবধূকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরের নামে শনিবার কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষক শ্বশুর আজাদ মোল্লাকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে। তিনি যশোর সদর উপজেলার ডহেরপাড়া গ্রামের শহরআলী মোল্যার ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গৃহবধূর স্বামী আলামিন হোসেন (২৬) দুবাই থাকে। বিদেশ যাওয়ার আগে তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিগত ৮ মাস পূর্বে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পূত্রবধু শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছে। গৃহবধূর দেবর আলফাজ হোসেন বিদেশ যাওয়ার জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। আর শাশুড়ি সখিনা বেগম তার ছেলেকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেয়ার জন্য ছেলের সাথে ঢাকায় যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে গৃহবধূ ও শ্বশুর রাতের খাওয়া দাওয়া করে যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়ে। বসত বাড়িটি নবনির্মিত হওয়ায় বসত ঘরের কোন দরজা না থাকায় পুত্রবধূ তার শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত অনুমান দেড়টায় পুত্রবধূ ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় শ^শুর শয়ন কক্ষে ঢুকে খাটের উপর পুত্রবধূকে জাপটে ধরে। পুত্রবধূর চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে আজাদ মোল্যা মুখ চেপে ধরে খুন করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এরপর ধর্ষণ করে। আজাদ মোল্যা ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য পুত্রবধূকে হুমকি প্রদান অব্যাহত রাখাসহ বসতবাড়ির ক্লপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে পুত্রবধূকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখে। কোন উপায় না পেয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ টায় পুত্রবধূ বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শাশুড়ি, নানা শ্বশুর, নানী শাশুড়িসহ অন্যান্য নিকটতম আত্মীয়স্বজনদের বিষয়টি জানিয়ে থানায় মামলা করে। পুলিশ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শ্বশুর আজাদ মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে রোববার আদালতে সোপর্দ করে। পুত্রবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
