নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর ডিবি পুলিশের জালে আটকা পড়েছে অজ্ঞান পার্টির ৫ সদস্য। মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক মিশ্রিত হলুদের গুড়া, চোরাই অলঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল পাওয়া গেছে।
আটক অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আকাম সরদারের ছেলে সাইদুল ইসলাম ওরফে সাহিদুর (৩৬) ও হালসা গ্রামের চান্দালী মোড়লের ছেলে ইসরাইল হোসেন (৩৫), অভয়নগর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের মাসুদ মোল্লার ছেলে বর্তমানে কেশবপুর উপজেলার সাবদিয়া গ্রামের নাজির হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া তরিকুল ইসলাম (২২), ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামের আনিছুর বিশ্বাসের ছেলে জনি রহমান (২২) ও বিষ্ণপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেন (২৫)।
ডিবি পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঘটনার সাথে কেশবপুর উপজেলার ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন জনি রহমানকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সাবদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিজ বাসা থেকে আটক করা হয় তরিকুল ইসলামকে। আটকের পর তারা বিভিন্ন বাড়িতে লোকজনকে অজ্ঞান করে চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে কেশবপুরের হাসানপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে সহযোগী সুমন হোসেনকে আটক এবং তার হেফাজত থেকে সোনার চোরাই ১ জোড়া বালা ও ১ জোড়া কানের দুল জব্দ করা হয়। পরদিন বুধবার সকালে আটক চোরচক্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মণিরামপুর উপজেলার হালসা গ্রামে অভিযান চালিয়ে সহযোগী ইসরাইল হোসেনকে এবং কাশিপুর গ্রাম থেকে গ্রুপের হোতা সাহিদুরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই ১টি ভ্যান এবং চেতনানাশক হলুদের গুড়া ও ১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। সূত্র জানায়, আটকরা চেতনানাশক ট্যাবলেট গুড়া করে হলুদের মধ্যে মিশিয়ে দেন। এরপর সন্ধ্যা নামলে অন্ধকারের ভেতর গোপনে বিভিন্ন বাড়িতে যান। রান্নাঘর ফাঁকা পেলে ভেতর থেকে হলুদের কৌটা এনে পরিবর্তন করে চেতনানাশক মিশ্রিত হলুদ রেখে দেন। পরদিন তাদের রেখা দেওয়া চেতনানাশক মিশ্রিত হলুদ দিয়ে তরকারি রান্না করা হয় ওই বাড়িতে। এরপর বাড়ির লোকজন ওই তরকারি খাওয়ার পর চেতনা হারিয়ে ফেলেন। এই সুযোগে তারা ঘরের ভেতর ঢুকে সোনার অলঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে আসেন।
ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, আটকদের বুধবার কেশবপুর থানায় দায়ের করা অজ্ঞান করে লুটের একটি মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে জনি রহমান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী রানী তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।