নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় এক ধানকাটা শ্রমিক নিহত ও ৫জন আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে যশোর-বেনাপোল সড়কের বেনাপোল সানরাইজ স্কুলের সামনে ও বকচর হুঁশতলা মোড়ে এবং যশোর-মাগুরা মহাসড়কের শালিখার চতুরবাড়িয়া এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত গোলাম মোস্তফা (৪৮) শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের আবুল ঢালীর ছেলে। আহতরা হলেন আনিসুর রহমান (৩০), সদরের ঝুমঝুমপুর বিজিবি ক্যাম্পের পাশের রুবেল হোসেন (৪৫), উপজেলা বাঘারপাড়া জহুরপুরের উত্তরসলুয়া গ্রামের কবিরুল ইসলামের ছেলে ইমন হোসেন (১৪), মাগুরার শালিখার বলাইনাঘোসা গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে সিয়াম হোসেন (১৭) ও এইক গ্রামের মহিদুল মোল্লার ছেলে তানভীর মোল্লা (১৫)।
আহত আনিসুর জানান, বুধবার সকালে যশোর-বেনাপোল সড়কে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে গোলাম মোস্তফা (৪৮) নামে এক ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বেনাপোল সানরাইজ স্কুলের সামনে ঘটনাটি ঘটে। আহত আনিসুর রহমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আনিসুর রহমান একই গ্রামের রেজাউল মুন্সির ছেলে। বাসটি আটক করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মোস্তফা ও আনিসুর বাইসাইকেল চালিয়ে বেনাপোলের দিকে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে বেনাপোলগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মধ্যে মোস্তফাকে মৃত ঘোষণা করেন ও আনিসুরকে ভর্তি রাখেন। স্থানীয়রা বাসটি আটক করলেও বাসের চালক এ হেলপার পালাতক রয়েছে। পরে পুলিশ কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে হস্তন্তর করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মোটরসাইকেল চালক রুবেল হোসেন তার মোটরসাইকেল (যশোর ল-১১-২০৬৮) নিয়ে শহরের মনিহার-মুড়লী মহাসড়কের হুঁশতলা থেকে নীলগঞ্জের ভেতর দিয়ে তার নিজ বাড়ি ঝুমঝুমপুরে যাচ্ছিলেন। পথে হুশতলা মোড়ের ওপর পৌঁছালে নীলগঞ্জের ভিতর থেকে আসা মনিহারগামী বাস মুন্না ডিলাক্স (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৫১৫১) তাকে চাপা দিয়ে ড্রাইভার এবং হেল্পার পালিয়ে যায়। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনায় পুলিশ বাসের হেল্পার সদরের বালিয়াডাঙ্গা বাবলাতলা মোড়ের নজিবুল ইসলামকে (১৮) আটক করে।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইমন হোসেন, সিয়াম হোসেন ও তানভীর মোল্ল্যা এক মোটরসাইকেলযোগে ঘুরতে বের হয়। এ সময় মাগুরা জেলার শালিখার চতুরবাড়িয়া নামক বাজারে পৌঁছালে মোটরসাইকেল ও লাটাহাম্বা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে তারা তিনজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খন্দকার রেজোয়ান উদ দারাঈন বলেন, সকালে পৃথক ঘটনায় অল্প সময়ের ব্যবধানে রুবেল, ইমন, সিয়াম ও তানভীর নামে চারজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তাদের সকলেরই শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরমধ্যে রুবেলের অবস্থা গুরুতর।