নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি করা একটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব ও ৩ লাখ ২৯ হাজার ৫শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। যশোরের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যরা সাতক্ষীরায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
আটককৃতরা হলো, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ছনকা গ্রামের মেহেদী হাসানের ছেলে জোবায়ের হোসেন (১৯) ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ভীস্মরপুর গ্রামের শেখ আব্দুর রউফের ছেলে মাসুদ পারভেজ রানা (৪৮)।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি কেশবপুর উপজেলার মির্জানগর গ্রামের বাসিন্দা সালমা বেগম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি উপজেলা পশু হাসপাতালের আওতাধীন এলডিডিপি প্রকল্পের (এলএসপি) অধীনে কর্মরত আছেন। অভিযোগে তিনি বলেছেন, প্রায় ৫/৬ মাস আগে মণিরামপুরের রাজগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে রকি নামে এক যুবকের সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়।
গত ১১ জানুয়ারি রাতে রকিসহ আরও দুইজন ব্যক্তি সালমা বেগমের বাড়িতে উপস্থিত হন এবং রাত্রিযাপনের অনুমতি চান। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে তাদের আশ্রয় দেন। আসামিরা মিষ্টি ও কোমল পানীয় সঙ্গে নিয়ে আসেন। যা বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা গ্রহণ করেন এবং রাত ১১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন।
পরদিন ১২ জানুয়ারি ভোরে ঘুম থেকে উঠে সালমা দেখেন, তার স্বামী শেখ মতিউর রহমান ও মা রাবেয়া বেগম অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। পাশাপাশি ঘরের মূল দরজা খোলা রয়েছে। ঘর তল্লাশি করে দেখা যায় স্টিলের লকার ভাঙা অবস্থায় রয়েছে এবং লকার থেকে নগদ ৪ লক্ষ টাকা, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি ল্যাপটপ, একটি অফিসের ট্যাব ও একটি স্মার্ট মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৬ লাখ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র চুরি হয়েছে।
যশোর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই শিবু ম-লের নেতৃত্বে একটি দল যশোর কোতোয়ালি থানাধীন পুরাতন কসবা কাজীপাড়া আমতলা মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে খন্দকার আব্দুর রশিদের বাড়িতে ভাড়া থাকা দুই আসামি জোবায়ের হোসেন ও মাসুদ পারভেজ রানাকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের হেফাজত থেকে চুরি হওয়া একটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব ও নগদ ৩ লাখ ২৯ হাজার ৫শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত আর্মি লোগো সম্বলিত একটি ক্যাপ, হ্যান্ড পার্স, একটি টি-শার্ট ও তিনটি স্মার্ট মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি চাকরি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎ করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।