নিজস্ব প্রতিবেদক
কয়লা বিক্রির নামে প্রতারণার মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় একই প্রতিষ্ঠানের ৫ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। যশোর সদরের জিরাট গ্রামের সেলিম রেজা বাবুল শনিবার মামলা করেন। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলো সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর উপজেলার চরদুগলি গ্রামের শমসের আলীর ছেলে আলম ট্রেডার্সের প্রোপাইটার মোকলেছুল আলম (৩৮), বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার সন্তোসপুর মেইন রোড ফয়লা গ্রামের রিধিতা কমপ্লেক্স ও মেসার্স আলী এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার আলী হোসেন, একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সাজ্জাদ আলী হোসেন, একই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সোহেল মিয়া ও একই প্রতিষ্ঠানের সার্ভেয়ার আরিফ হোসেন।
মামলায় সেলিম রেজা বাবুল বলেন, আসামি মোকলেছুুল আলমের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি আলী হোসেন, সাজ্জাদ আলী হোসেন, সোহেল মিয়া ও আরিফ হোসেন কয়লা বিক্রি করেন। আসামি সেলিম রেজা বাবুলের সাথে পরিচয়ের সুবাদে ২০ ফেব্রুয়ারি মোবাইলে যোগাযোগ করে বলে তারা সবাই কয়লা বিক্রি করে। ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামি মোকলেছুল আলম আমার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে কয়লা নিতে ইচ্ছা পোষণ করি। আসামি মোকলেসুল জানায়, নওয়াপাড়া বাজারে শাহারা নামক ট্রেডার্সে ম্যানেজারসহ গাড়ি পাঠিয়ে দেন। এর আগে আমার একাউন্টে কিছু টাকা পাঠিয়ে দেন। আসামি মোকলেছুল আলমের কথা বিশ্বাস করে যশোর শহরের জেসটাওয়ারের পশ্চিম পাশে সিটি ব্যাংকে গিয়ে ঢাকা নওয়াবপুর ব্রাঞ্চে ৫ লাখ টাকা প্রদান করি। একাউন্টে টাকা দেয়ার পর পরবর্তীতে আমি মোবাইল ফোনে যোগযোগ করলে আসামি মোকলেছুল আলমের মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পায়। তাৎক্ষনিক আমার ম্যানেজার আসাদুর রহমানকে নওয়াপাড়া বাজারে শাহারা নামক ট্রেডার্সে পাঠায়। সে জানায় অভয়নগরে শাহারা নামক কোন প্রতিষ্ঠান নেই। তখন আমার সন্দেহ হয় আসামিরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। আসামি মোকলেছুর আলমের দেয়া সিটি ব্যাংকের একাউন্টে দেয়া টাকা প্রদান করার মেমো সংরক্ষিত আছে। আসামিরা কয়লা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণামূলক ৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে।