নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদরের দেয়াড়া ইউনিয়নের চান্দুটিয়ায় বুকভরা বাঁওড় পাড়ে প্রবাসী সোহেল রানা খুনের প্রধান আসামি ফারাবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার এস আই মাইদুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে খুলনার একটি স্কুল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাত ১২ টার দিকে তার স্বীকারোক্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত হাসুয়া, দুইটি মোবাইল ফোন ও নিহত সোহেল রানার মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। ফারাবি আলমনগর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। এর আগে পুলিশ নিহত সোহেলের স্ত্রী খুশি মিম ও ভাইপো জিসানকে গ্রেপ্তার করে। নিহত সোহেল রানা হালসা গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে।
রোববার দুপুরে যশোর কোতোয়ালি থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) জুয়েল ইমরান এ তথ্য জানান। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন ওসি তাজুল ইসলাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই কান মাইদুল, এস আই কামাল প্রমুখ।
জুয়েল ইমরান বলেন, ফারাবিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ফারাবিকে গ্রেপ্তারের জন্য রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলনার খানজাহান আলী থানার জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অভিযান পরিচলনা করে গিলেতলার এজিএম কিন্ডার গার্টেন স্কুলের একটি রুম থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। স্কুলের নাইটগার্ডের সাথে সখ্যতা করে ফারাŸি স্কুলে আশ্রয় নেয়। পরে রাত ১২ টার দিকে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় ফারাব্বির স্বীকারোক্তিতে ঘটনাস্থল মঠবাড়ি বাওড় ভেড়ির পাশে কালভার্টের নিচে কচুরিপানা ভর্তি ডোবার ভিতর থেকে সোহেল খুনে ব্যবহৃত গাছি দা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নিহত সোহেল রানার মোটর সাইকেলটি সাতমাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর উপস্থিত ছিলেন।
জুয়েল ইমরান আরো জানায়, ১২ এপ্রিল হত্যাকাণ্ডের পর ফারাবি সোহেল রানার মোটর সাইকেল নিয়ে সাতমাইলে যায়। সেখানে মোটরসাইকেল ফেলে রেখে বাস যোগে কুষ্টিয়ায় যায়। সেখান থেকে মোটর সাইকেলটি একজন গার্ড উদ্ধার করে নিজের কাছে রাখে। পরে কুষ্টিয়া থেকে রাজশাহী যায়। সেখানে যেয়ে ফারাবি তার ব্যবহৃত স্মার্ট মোবাইল ফোন বিক্রি করে পুরাতন একটি ফোন ও নতুন সিম কেনে। ওই ফোন নিয়ে ফারাবি রাজশাহী থেকে ট্রেন যোগে খুলনা যায়।
১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় চান্দুটিয়া-মঠবাড়ির বুকভরা বাওড় পাড়ে দুবাই প্রবাসী সোহেল রানাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়। তিনি দ্বিতীয় রমজানে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনার সময় তিনি আপন ভাইপো জিসানের মোটরসাইকেলে করে আলমনগর গ্রামে শ্বশুর আব্দুল আলিমের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন।