নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, ‘গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি বহু ষড়যন্ত্র করেছিলো। যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়। কিন্তু শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে হয়। এই নির্বাচনে কোন সহিংসতা হয়নি। নাশকতা, মানুষ পুড়িয়ে মেরেও নির্বাচন বানচাল করতে পারেনি বিএনপি। এই নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন।
বুধবার বিকালে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। এতে জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আমাদের মহান বিজয়ের পরিপূর্ণতা পেয়েছিল। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরে আসেন তখন বাংলাদেশের আপামর মানুষ উল্লাসে রাস্তায় নেমে আসে। সমগ্র জাতি সেদিন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দলে ভেদাভেদ হয়েছিলো। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এক হতে হবে। কেননা বিএনপির ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তাদের হাকডাকে ভীত না হয়ে সবাইকে ঐক্যবন্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বের কাছে বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মুন্সী মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল, যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর ও যুবলীগনেতা আলমগীর কবির সুমন, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ সাঈদ, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নিয়ামত উল্লাহ, যুব মহিলা লীগ নেত্রী শেখ সাদিয়া মৌরিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস।