নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করেছেন। ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দের (৭ মে ১৮৬১ খিষ্টাব্দ) এ দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বিশ্বসাহিত্যের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রতিভাদের একজন হচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে যার অবদান অসামান্য। তার হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য পায় নতুন রূপ। ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননশীলতা দিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে বিরল সম্মান আর্জন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা, নোবেল বিজয়ী ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মদিন উপলক্ষে যশোরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচিতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন পালন করেন। জন্মজয়ন্তীর কর্মসূচির মধ্যে ছিল সমবেত গান, নৃত্য, আবৃত্তি, একক গান, একক আবৃত্তি এবং একক কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বুধবার (৮ মে) বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে পুনশ্চ যশোরের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পান্না লাল দে এবং সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাদল। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন অভিজিৎ পাল এবং স্বাগতা বিস্বাস প্রথা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা শিল্প একাডেমি মিলনায়তনে সুরবিতান সংগীত একাডেমী ও সুরধুনী যশোরের আয়োজনে রবীন্দ্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোর শিল্পকলা একাডেমি ও সুরবিতানের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, সুরধুনীর সভাপতি হারুন অর রশিদ, যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন ও সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, সুরবিতানের সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব বিশ্বাস, সভাপতি হারুন অর রশীদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কোষাধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম এবং থিয়েটার ক্যানভাসের সম্পাদক কামরুল হাসান রিপন।
এছাড়াও সন্ধ্যায় উদীচী যশোর পরিচালিত মুন্সি রইসউদ্দিন সংগীত অ্যাকাডেমির আয়োজনে সংগঠন প্রাঙ্গনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি তন্দ্র ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান, সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান হিরু এবং উপদেষ্টা ইলাহদাত খান প্রমুখ।