নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন উদযাপন করেছি। এর রেশ এখনো কাটেনি। মার্চ মাস চলছে। সবাইকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ও মার্চ মাসের অগ্রিম স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ বিপিএম (বার) বলেছেন, বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
বাংলাদেশে ক্ষুধা পরাজিত হবার পথে। আমাদের এই প্রজন্ম এখন আত্মমর্যাদা আত্মবিশ্বাস নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে বিশ্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করবে। আমরা খুবই শীঘ্রই পৃথিবীর বুকে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে নিজেদেরকে অধিষ্টিত করতে সক্ষম হবো। বিগত ১৪ বছরে আমাদের অর্থনীতির ক্ষেত্রে সামজিক ক্ষেত্রে যে সকল উন্নতি হয়েছে সেটি বিস্ময়কর। আমাদের এই উন্নতি এখন অনেক উন্নয়নশীল দেশে যেমন গভীর বিস্ময় ও গবেষণার বিষয় হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। দেশের এই অগ্রযাত্রাকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ লাইন মাঠে যশোরে বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা করেন।
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের উদ্দেশ্যে আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশের বিরুদ্ধে সকল প্রকার ষড়যন্ত্রকে দু’ পায়ে মাড়িয়ে আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বাঙালি জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখনই তারা বিজয়ী হয়েছে। এদেশ বিজয়ীদের দেশ। এদেশ বীরের দেশ।
তিনি বলেন, পুলিশের ইউনিটগুলোতে প্রতিবছর এভাবে সমাবেশ ও স্পোর্টস করে থাকি। স্পোর্টস পুলিশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকগুলো কারণে পুলিশের সাথে স্পোর্টসের একটি হার্দিক সম্পর্ক আছে। পুলিশের চাকরির জন্য ব্রেন গেমের পাশাপাশি ফিজিক্যাল ফিটনেসের প্রয়োজন হয়। যে কারণে স্পোর্টস শরীর ও মানসিকতা গঠনে সাহায্য করে। একই সাথে স্পোর্টসে নিজস্ব ডিসিপ্লিন রয়েছে। ডিসিপ্লিন শৃংখলাকে সাহায্য করে। পুলিশে যারা আছে তাদের শৃংখলা শরীর চর্চা, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা এগুলোর সম্মিলিত ফসলই হচ্ছে ভালো পুলিশিং। এ কারণে স্পোর্টসের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই মুহূর্তে পুলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল, প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট খেলে। বাস্কেট বল, কাবাডিতে জাতীয় পর্যায়ে পজিশন রয়েছে। এথলেটিকসেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুলিশ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। ক্রীড়া জগতে বাংলাদেশ পুলিশের বহুদিন থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার ঐতিহ্য রয়েছে।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী ও আইজিপি সহধর্মিনী জীশান মির্জা ও বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জ উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দীন বিপিএম (বার)।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ২৭ টি ইভেন্টের মধ্যে প্রথমদিন (মঙ্গলবার) ১১টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী ও আইজিপি সহধর্মিনী জীশান মির্জা। এর আগে পুলিশ সদস্যদের অংশগ্রহণে প্যারেড, মনোজ্ঞ ডিসপ্লে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপার ও উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিবৃন্দ।