নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে প্রকাশ্যে এক মিনিবাস চালককে ইজিবাইকে নিয়ে সুলতানপুর গ্রামের মেহেগনী বাগানের মধ্যে ফেলে মারপিটের একপর্যায় ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে নগদ ১২শ’ টাকা ছিনিয়ে নেয়া এবং পরে চালকের স্ত্রীর মোবাইল ফোনে চাঁদার ৩০ হাজার টাকা দাবি করে হুমকি দেয়ার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, যশোর শহরের বেজপাড়া বুনোপাড়ার আরমান শিকদার ও সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মান্দারতলা গ্রামের লিমন।
মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলঅর আড়ুয়াকান্দি গ্রামের আবজাল হোসেন ২১ জানুয়ারি রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেন। শুক্রবার ২১ জানুয়ারি দুপুর দেড়টায় শহরের মণিহার মোড় লুৎফরের চায়ের দোকানের সামনে অবস্থানকালে গ্রেফতারকৃত আসামিদের সহযোগী নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়া আলআমিন মসজিদ এলাকার সাজ্জাদ বাদির কাছে এসে তাকে জানায়, হামিদপুর এলাকায় বাদীর বাস দুর্ঘটনা করেছে মর্মে তার সাথে থাকা ইজিবাইকে করে তুলে নিয়ে যায়। দুপুর আড়াইটার সময় বাদিকে নিয়ে সাজ্জাদ সুলতানপুর গ্রামের মেহগনি বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। বাদী সাজ্জাদ হোসেনের সাথে উক্ত স্থানে পৌছানোর পর আরমান শিকদার, লিমনসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন সন্ত্রাসীকে দেখতে পান। বাদি সাজ্জাদকে মেহগনি বাগানের মধ্যে নিয়ে আসার কথা বললে সাজ্জাদসহ তার সহযোগীরা বাদিকে খুন করার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে। বাদিকে হুমকী দিয়ে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদি চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হলে মারপিট পূর্বক নগদ ১ হাজার ২শ’ টাকা চাঁদা স্বরুপ ছিনিয়ে নেয়। পরে বাদীর মোবাইল ফোন দিয়ে স্ত্রীর মোবাইল ফোন নাম্বারে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে বাদিকে গুরুতর জখমসহ ক্ষয়ক্ষতি করবে। বাদি ডাক চিৎকার দিলে আশপাশ থেকে লোকজন এগিয়ে আসলে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা বাদিকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বাদিকে আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী আরমান শিকদার ও লিমনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার রাতে। শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।