নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় ১৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন, যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া বটতলার মৃত আনিসুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবীর, মৃত আশরাফ আলী বিশ^াসের ছেলে রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, সদর উপজেলার গোপালপুরের আব্দুল মজিদের ছেলে জাকির হোসেন, ভাতুড়িয়া বাজারের মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আতিয়ার রহমান, করিচিয়া গ্রামের মৃত সাহাদৎ আলী বিশ^াসের ছেলে ফিরোজ হোসেন, মনোহরপুর গ্রামের মোকাম আলী মোল্যার ছেলে শরিফুল ইসলাম, কিসমত রাজাপুরের আব্দুর রশিদের ছেলে মনিরুল ইসলাম, গাওঘরা গ্রামের মৃত বাবলুর রহমানের ছেলে জাহিদুর রহমান বাচ্চু, রামনগর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে ওসামা বিন ইব্রাহিম, আব্দুলপুরের আব্বাস আলীর ছেলে আনিসুর রহমান, হাটবিলা-জামতলার মৃত তাইজুল ইসলাম মোল্যার ছেলে রওশন আলী, গাইদগাছি গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে রফিকুল ইসলাম এবং যশোর উপশহর এক নম্বর সেক্টরের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে শাহিন।
গত ৪ আগস্ট জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৮ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় আওয়ামী লীগের ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন জেলা বিএনপির সাবেক সহআইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের নেতা শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট এমএ গফুর।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী। গত ৪ আগস্ট সকলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হয়। এরপর তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শহরের লাল দিঘীর পশ্চিমপাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে যান। তারপর তারা বিএনপির পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। এসময় অফিসে থাকা দুইটি ল্যাপটপ, আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে। তারা অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন জালিয়ে দেয় ও বোমা হামলাসহ ৪০ মিনিট তান্ডব চালায়। এসময় অফিস সহকারী মনিরুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় আসামিরা আওয়ামী লীগের শাসন আমলে নানা ধরণের অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় মামলার পরে আসামিরা গা-ঢাকা দিয়ে থাকলেও ১ অক্টোবর রাত থেকে ২ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ১৩জনকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
