নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মঙ্গলবার শান্তিপূর্ণভাবে কালো পতাকা মিছিল করেছে বিএনপি। তবে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশ দলীয় নেতাকর্মীদের মারপিট করেছে বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের। এসময় দলের কয়েকজন নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। এছাড়া দলের সাতজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে শহর জুড়ে পুলিশের বেশ তৎপরতা দেখা যায়। বিশেষ করে দলটির দলীয় কার্যালয় স্থল লাল দিঘিরপাড়ের সড়কে ব্যারিকেট দেয়। ফলে ওই সড়কে পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ বলেন, গেল ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত অবৈধ সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিতে দেশব্যাপী পৌর ও থানা পর্যায়ে মঙ্গলবার কেন্দ্র ঘোষিত পূর্ব নির্ধারিত কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ছিল। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা লাল দিঘীপাড়স্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সেখান থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর আচমকা ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। সেখান থেকে দলের সাতজন নেতাকর্মীদের পুলিশ আটক করে।
আটক নেতাকর্মীরা হলেন, জেলা যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন লিটু, ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল, চূড়ামনকাটি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন, কচুয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা নাহিদ হাসান, সরকারি এম এম কলেজ ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম ও আশিকুর রহমান। পরে নগর ও সদর উপজেলা বিএনপি নেতাবৃন্দ যশোর -২৫০ শয্যা হাসপাতাল মোড় থেকে ঘোপ জেল রোড পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীরা কালো পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করেন।
এদিকে মাইকপট্রি এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, প্রতিটি মার্কেটের দোকানে দোকানে পুলিশ বিএনপি কর্মীদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার জন্য তল্লাশি করে। দোকানের সামনে দাঁড়ানো কর্মচারীদের বিএনপি কর্মী ভেবে মারপিট করে।
সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, সদর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে মনিহার এলাকায় একই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ সেখানে পুনরায় লাাঠিচার্জ করে। পুলিশের লাঠির আঘাতে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকনসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এ বিষয় যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, বিএনপির কোন কর্মসূচিতে পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জ করা হয়নি।
