নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেছেন, বিএনপির ডান কাঁধে উঠেছে ভুইফোঁড় ধান্দাবাজ নেতারা আর বামকাঁধে উঠেছে রাজাকার। এসব ভুইফোঁড় ধান্দবাজ রাজাকারদের নিয়ে সরকার পতন করা যাবে না। আগে তৃর্ণমূল নেতাদের সঙ্গে লড়াই করে পরে সরকারের সঙ্গে লাগতে আসেন। জনগণই আমাদের শক্তি। জনগনকে সাথে নিয়েই সকল ষড়যন্ত্র আর অপশক্তির জবাব দিবে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যশোর শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বরে আয়েজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। সমাবেশ উপলক্ষে দুপুরের পর থেকে সমাবেশ স্থলে সদর ও পৌর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে জড়ো হয়। এসময় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সমগ্র দড়াটানা চত্বর তীব্র জানজটের সৃষ্টি হয়। গণগুরুত্বপূর্ণ স্থলে সমাবেশ হওয়াতে সাধারণ জনগণকে পড়তে দুর্ভোগে।
যে দলের নেতা চোর, পলাতক তাদের কথা শুনে যশোরে যারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করো তাহলে তার ঝাল বুঝাই দিবো। আমরা আবারও এক্যবন্ধ হয়ে যশোরের ৬টি আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার মধ্যে দিয়ে তাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাবো। আগামি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যশোরবাসী অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
এমপি শাহীন চাকলাদার বলেন, ‘২০১৪ সালে যখন বিএনপি আগুন সন্ত্রাসী নিয়ে খেলা করেছে; তখন আমরা জনগণকে সাথে নিয়েই তাদের সেই আগুন সন্ত্রাসের জবাব দিয়ে ছিলাম। আবারও নির্বাচন এসেছে তারা আগুন সন্ত্রাসী নিয়ে খেলার স্বপ্ন দেখছে। নির্বাচন নিয়ে কোন আগুন সন্ত্রাসের পায়তারা করার টেষ্টা করাও দরকার নাই। কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে। সম্প্রতি সময়ে যশোরে বিএনপির কর্মসূচিতে শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিএনপি নেতারে আশালীন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আর দলের নেতাদের নিয়ে অশালীন বক্তব্য দিলে লাল দীঘির পাড়ে আর কোন কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না হুশিয়ারি উচ্ছারণ করেন। আমেরিকায় যত মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় পৃথিবীতে তত মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। পৃথিবীতে একমাত্র দেশই হলো বাংলাদেশ; সেই দেশেই মানবাধিকার কখনও লঙ্ঘন হয়নি। ভোট ডাকাতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। বিএনপি হুন্ডা-গুন্ডাবাহিনী আর বন্দুকের নল রেখে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কখনো চাইনি ক্ষমতায় আসতে। ও চায় মনোনয়ন বাণিজ্য করতে। মনোনয়ন বাণিজ্য করে তারেক জিয়া লন্ডনে ফূর্তি করবে। বিএনপি হাওয়া ভবন খুলেছিলো দূনীর্তি করতে। ওখানে বসে রাষ্ঠ্রীয় টাকা লুটপাট করেছে। আজকে বিএনপির নেতারা বড় বড় কথা বলেন দেশের উন্নয়ন নিয়ে, তাদের বলছি আপনাদের উন্নয়নের তালিকা দেন। আর আমাদের উন্নয়নের তালিকা নেন। নিজেরাই পার্থক্য করেন কাদের উন্নয়নের পাল্লা ভারি। যশোরের উন্নয়ন দিয়ে একটি আধুনিক শহরে রুপান্তিত করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ক্ষমতায় এসে আবারও অন্ধকারে নিয়ে যাবা সেই স্বপ্ন ভুলে যাও। সেই স্বপ্ন দেশের জনগণ কখনো বাস্তবায়ন হতে দিবে না। যে দলের নেতা চোর, পলাতক তাদের কথা শুনে যশোরে যারা বিশৃঙ্খলা করার টেষ্টা করো তাহলে তার ঝাল বুঝাই দিবো। আমরা আবারও এক্যবন্ধ হয়ে যশোরের ৬টি আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার মধ্যে দিয়ে তাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাবো। আগামি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যশোরবাসী অগ্রণী ভ’মিকা রাখবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপু, জেলা মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা মিলি, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস, পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রনি। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।
