নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা আলোচিত আসাদুজ্জামান আসাদ (৪৬) ওরফে বুনো আসাদ হত্যা চেষ্টার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আসাদ শহরের বেজপাড়ার বনানী পাড়ার বাসিন্দা। আসাদের ছোট ভাই সাহিদুর রহমান বুধবার মামলা করেন।
মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে বেজপাড়া কবর স্থানের পিছনে মাঠপাড়ার সুমনের বাড়ির ভাড়াটিয়া কাসেমের ছেলে হাসান ওরফে খাবড়ি হাসান (৩৩), বেজপাড়ার (বনানী রোড) আক্কাচের ছেলে চঞ্চল (৩৮), একই এলাকার খোকনের ছেলে আকাশ (২০) ও রায়পাড়ার বিপ্লব (২২)। এদের মধ্যে পুলিশ চঞ্চলকে আটক করেছে।
মামলায় সাহিদুর রহমান বলেন, তার বড় ভাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ে নুরুন্নাহার হোমিও হলে ওষুধ ক্রয় করতে যায়। ওৎ পেতে থাকা আসামি হাসান ওরফে খাবড়ি হাসান কোন কথাবার্তা না বলে পিছন থেকে বার্মিজ চাকু দিয়ে আমার ভাইয়ের বুকের ডান পাশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আসাদ মাটিতে পড়ে গেলে অন্য আসামিরাও তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এ সময় আসাদের পকেট থেকে ১২ হাজার টাকা চঞ্চল কেড়ে নেয়।
আসাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আসামিরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় আসাদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় আসাদকে মঙ্গলবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরিত করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শরীফ আল মামুন জানান, মঙ্গলবার রাতে বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড় থেকে বুনো আসাদ হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামি চঞ্চলকে আটক করা হয়। বুধবার চঞ্চলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।