নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে শেখ মহব্বত আলী টুটুল নামে একজন ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে শেখ মোজাম্মেল হোসেন রাতুল (৩৬) নামে এক ভুয়া সাংবাদিক আটক হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে শহরের এম কে রোডস্থ ‘কোকো মোবাইল শপ’ নামে ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ জানায়, আটক শেখ মোজাম্মেল হোসেন রাতুল ঢাকার সাভারের গেন্ডা এলাকার শেখ সাইফুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি যশোর শহরের মুুজিব সড়ক সংলগ্ন ষষ্ঠীতলার জনৈক সাইদুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া। চাঁদাবাজির ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন ব্যবসায়ী শেখ মহব্বত আলী টুটুল। তিনি শহরের লোন অফিস পাড়ার আব্দুল ওহাবের ছেলে।
টুটুল জানান, তিনি লোন অফিস পাড়ার রফিকুল ইসলাম লাবলু, শহিদুল ইসলাম ডাবলু ও শফিকুল ইসলাম জ্যোতির কাছে ব্যবসা সংক্রান্ত দেড় কোটি টাকা পাবেন। এ সংক্রান্ত কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা তার একটি মামলা ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে। ১৫ দিন আগে শেখ মোজাম্মেল হোসেন রাতুল নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে অনলাইন পোর্টাল ‘বিসিএন নিউজ ২৪’ এর সাভারের সাংবাদিক পরিচয়ে উল্লিখিত মামলা সংক্রান্তে কথা বলতে চান। তিনি রাজি হলে শেখ মোজাম্মেল হোসেন রাতুল নামে ওই ব্যক্তি শহরের এম কে রোডস্থ ‘কোকো মোবাইল শপ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে আসেন। এরপর মামলা সংক্রান্ত অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তার এক পর্যায়ে শেখ মোজাম্মেল হোসেন রাতুল কৌশলে চা খাওয়ার কথা বলে কিছু টাকা দাবি করেন। কিন্তু শেখ মহব্বত আলী টুটুল তাকে টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে শেখ মহব্বত আলী টুটুল স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন শেখ মোজাম্মেল হোসেন রাতুল ভুয়া সাংবাদিক। ওই ব্যবসায়ী আরও জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তিনি তার দোকানে বসে প্রয়োজনীয় কাজ করছিলেন। এ সময় শেখ মোজাম্মেল হোসেন রাতুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন তার দোকানে যান। সেখানে যাওয়ার পর একইভাবে মামলা সংক্রান্তে অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন শেখ মোজাম্মেল হোসেন রাতুল। চাঁদার টাকা না দিলে শেখ মহব্বত আলী টুটুলের বিরুদ্ধে জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের হুমকি দেওয়া হয়। তখন শেখ মোজাম্মেল হোসেন রাতুলের কাছে সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র দেখতে চান টুটুল। কিন্তু পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তার অন্য সঙ্গীরা কৌশলে পালিয়ে যান। #