নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে মহিলা আওয়ামী লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংগঠনটি জেলা শাখার সভাপতি লাইজু জামান ও সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎন্সা আরা মিলির সমর্থকদের মধ্যে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে অনুষ্ঠান প্রায় আধাঘণ্টা বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে একই স্থানে দুটি পক্ষই পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটার মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। দলীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটলেও দু’গ্রুপের নেতারাই বলছেন ঘটনাটি ভুলবুঝাবুঝি ছিলো।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী দুইপক্ষের অনুসারী। সে অনুযায়ী মহিলা আওয়ামী লীগও দুটি গ্রুপে বিভক্ত। মহিলা আওয়ামী লীগের একটি অংশের নেতৃত্ব দেন সভাপতি লাইজু জামান এবং অন্যটির সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা মিলি। লাইজু কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী ও মিলি শাহীন চাকলাদারের অনুসারী হিসাবে পরিচিত।
মহিলা আওয়ামী লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকেই নানা কর্মসূচি হাতে নেয় যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ। সকালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে যৌথভাবে শ্রদ্ধা জানালেও দলের দ্বন্দ্ব-বিভক্তির কারণে দুটি গ্রুপই যার যার অনুসারীদের নিয়ে শোভাযাত্রা ও কেক কাটেন পৃথকভাবে। দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা ও কেক কাটার আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠান শুরুর আগে নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন সভাপতি লাইজু জামান। এর পরেই অনুসারীদের নিয়ে উপস্থিত হন সাধারণ সম্পাদক মিলি। এর আগেই লাইজুর নেতাকর্মীরা সামনের সারির চেয়ারগুলোতে বসে পড়েন। পরবর্তীতে মিলির নেতাকর্মীরা এসে সিনিয়র-জুনিয়র অনুযায়ী বসার নির্দেশনা দিলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। এসময় একে অন্যকে অশ্লীলভাবে গালিগালাজ করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে উপস্থিত পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করলেও অনুষ্ঠান আর একসাথে সম্পন্ন হয়নি। পরবর্তীতে দুটি পক্ষই দলীয় কার্যালয়ে পৃথকভাবে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ করলেও আলোচনা সভা আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎ¯œা আরা মিলি বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। নিজেদের মধ্যে এমন ঘটনা আসলেই বলতে ভালো লাগে না। তিনি দাবি করেন, আমার মেয়েরা আগে গিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বসেছিল। সভাপতি এসে তাদের তুলে দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি উত্তেজিত হয়ে যান এবং ওখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তবে জ্যোৎস্না আরা মিলি হাতাহাতির ঘটনা অস্বীকার করেন।
এদিকে সভাপতি লাইজু জামান বলেন, তেমন বড় কিছু ঘটেনি। বড় কর্মসূচিতে একটু ঠেলাঠেলি হতেই পারে। এটি নিউজ করার কোনো বিষয় নয়। নিজেদের মধ্যে একটু ঝামেলা হলেও পরবর্তীতে সব ঠিক হয়ে গেছে।
