নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতারণার অভিযোগে মাইডাস ফাইন্যাসিং লিমিটেড যশোর ব্রাঞ্চের অতিরিক্তি ম্যানেজারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যশোরের একটি আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার বাঘারপাড়ার ধান্যপূড়া গ্রামের মেসার্স আলাউদ্দীন ট্রেডার্সের মালিক এম আলাউদ্দীন মন্ডল মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, মাইডাস ফাইন্যাসিং লিমিটেড যশোর ব্রাঞ্চের অতিরিক্তি ম্যানেজার মৌসুমী আক্তার, এক্সিকিউটিভ অফিসার খুরশীদ আলম ও মীর ওহিদুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, এম আলাউদ্দীন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি ব্যবসার প্রয়োজেন কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে মাইডাস ফাইন্যাসিং লিমিটেড যশোর ব্যাঞ্চ থেকে ৩ লাখ টাকা লোন গ্রহণ করেন। এ সময় আসামিরা তার ব্যাংক হিসেবের চেক স্বাক্ষর করে নেন। ২০১১ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে কিস্তির দিয়ে তিনি ২ লাখ ৮১ হাজার ৯১৪ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ১৮ হাজার ৮৬ টাকা পরিশোধের তিনি অফিসে গেলে কর্তৃপক্ষ টাকা গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেন। এরপর তিনি জানতে পারেন এক্সিকিউটিভ অফিসার তার নামে চেক ডিজ অনারের মামলা করেছেন। বর্তমানে অর্থঋণ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন আছে।
এম আদালাউদ্দীন মাইডাস অফিসে যোগাযোগ করলে লোনের টাকা পরিশোধ করলে মামলা প্রত্যাহার করে নিবে। তারপরও ধার্য দিনে বাদী আদালতে তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেন। এরপর ২৫ জানুয়ারি এম আলাউদ্দীন ওই অফিসে যেয়ে তার কাছে কত পাওনা ও টাকা পরিশোধের স্টেটমেন্ট চান কর্তৃপক্ষের কাছে। তারা তাকে কোন সহযোগিতা না করে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন। আসামিরা পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার মাধ্যমে চেক রেখে ইচ্ছামত টাকার অংক বসিয়ে চেক ডিজঅনারের মামলা করেছেন। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যশোর মেডিকেল কলেজে বহিরাগত ঠেকাতে হকিস্টিক নিয়ে পাহারা!
