কল্যাণ রিপোর্ট: পারিবারিক কলহের জেরে যশোর সদর উপজেলার জয়ন্তা গ্রামে মারপিট ও জখমের ঘটনার দুই মাস পর একই পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আদালতে দেয়া পিটিশনটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করে পুলিশ।
আসামিরা হলো, সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫), জাকির হোসেন (৫৮), হুমায়ুন আহমেদ (৪০), জাকির হোসেনের স্ত্রী জেসমিন (৪০) এবং শিউলী বেগম (১৮)।
জয়ন্তা গ্রামের জিয়াউর রহমান (২৫) এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার বোন হাজেরা খাতুনের সাথে আসামি জাহাঙ্গীর হোসেনের বিয়ে হয় ১৯৯৭ সালে। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের তাদের তিনটি সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে আসামি জাহাঙ্গীর যৌতুকের জন্য তার বোনকে নানাভাবে চাপ দিতো। নির্যাতনও করতো। অনেক টাকা পয়সা ও জিনিস পত্র দেয়া হলেও জাহাঙ্গীর নির্যাতন চালাতো বোনের ওপর। গত ২৮ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে তার বোন হাজেরাকে মারপিট করে ভগ্নিপিত জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় ভাগ্নে ইসমাইল হোসেনের টগর মোবাইল ফোন দিয়ে তার আরেক মামা জামিনুর রহমানকে ডেকে নেয়। তাদের সামনে হাজারাকে মারপিট করে। এ সময় তিনিসহ অন্যান্যরা সেখানে পৌছালে আসামিরা তাদের সামনে হাজেরাকে মারপিট করে। টগর ঠেকাতে গেলে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। অন্যান্যরা ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়। এ সময় জামিনুরের পকেটে থাকা ৮৭ হাজার টাকা কেড়ে নেয়া হয়। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
যেহেতু পারিবারিক সমস্যা নিয়ে গোলযোগ তাই বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিটানোর জন্য বহু চেষ্টা করা হয়। দিনের পর দিন সময়ক্ষেপণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত আসামি পক্ষ কোন সুরাহা করতে না চাওয়ায় তিনি আদালতে গত ২৫ ডিসেম্বর একটি পিটিশন দাখিল করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ সোমবার তা নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।