নিজস্ব প্রতিবেদক
ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগেই। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে গেছে যশোরে। তাই মাঠের পাকা ধান নিয়ে কৃষকের চিন্তার অন্ত নেই। এমনই একজন সদর উপজেলার খাটরা বলরামপুর গ্রামের জাকির হোসেন মিন্টু। তবে তার মুখে হাসি ফুটিয়ে দিয়েছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। আজ শনিবার নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তার মাঠের ধান কেটে দিয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল। খুব ভোরে গিয়ে মিন্টুর দেড় বিঘা জমির ধান কাটার পাশাপাশি বাড়িতে থাকা আরো ১০ কাটা জমির ধান মাড়াই করে দিয়েছেন তারা।
আনোয়ার হোসেন বিপুল জানান, যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শাম্স পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল খান নিখিল বিপদগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী সমস্যায় থাকা কৃষকের তালিকা করে তারা মাঠে নেমেছেন। পর্যায়ক্রমে তারা এসব কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে তুলে দিবেন।
সুবিধাভোগী কৃষক জাকির হোসে মিন্টু বলেন, ‘এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে দিনে বেশি কাজ করতে পারছিলাম না। মজুরি বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিক দিয়েও ধান কাটাতে পারছি না। বিষয়টি আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান রাজু আহমেদকে বলেছিলাম। তিনি আশস্ত করেছিলেন। এরপর শনিবার সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের নেতৃত্বে আমার দেড় বিঘা জমির ধান কেটে দেওয়া হয়েছে। আমি এখন বেশ স্বস্তিতে আছি।
বিপুলের সাথে ছিলেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, মসিয়ার রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জামাল উদ্দিন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাবের হোসেন জাহিদ, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহসানুল করিম রহমান, ছাত্রলীগনেতা তছিকুর রহমান রাসেল, শফিকুল ইসলাম শফিক, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, তরুণলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, হৃদয় হোসেন, শেখ টুটুল, তন্ময় দফাদার, মেহেদী হাসান রাকিব, আবু বক্কর সিদ্দিক, শামীম গাজী প্রমুখ।

 
									 
					