আব্দুল ওয়াহাব মুকুল
যশোরে ব্যাটারি চালিত রিক্সা-ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ইঞ্জিন চালিত যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার বেড়েছে। লাইটের তীব্র রশ্মির কারণে রাতে সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারীদের পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে। চোখে সরাসরি আলোকরশ্মি পড়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ক্ষতিকর আলোর কারণে চোখের ক্ষতি হচ্ছে বলে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ভুক্তভোগীদের দাবি, প্রশাসনকে কড়া তদারকি করে এলইডি লাইটের ব্যবহার এখনই বন্ধ করতে হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, যশোর শহর ও গ্রামের সড়কে প্রায় ১৫ হাজার ব্যাটারি চালিত রিক্সা-ভ্যান, ২৫ হাজার মোটরসাইকেল, ১০ হাজার ইজিবাইক ও ২০ হাজারেরও অধিক ইঞ্জিন চালিত ছোট-মাঝারি-বড় যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহনের বেশিরভাগই ‘নিষিদ্ধ’ এলইডি বাল্ব’র আলো ব্যবহার করা হচ্ছে। হেডলাইটে ব্যবহৃত এলইডি বাল্ব’র আলো চোখে লাগায় রাতে চলাচলে দায় হয়ে পড়েছে। এছাড়া আলোক রশ্মি সরাসরি মানুষের চোখে লাগায় চোখের জ্যোতি ও কর্ণিয়ার ক্ষতি হচ্ছে।
যানবাহনে এলইডি বাল্ব ব্যবহারে মানব চোখের ক্ষতি সম্পর্কে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের প্রধান ডা. হিমাদ্রী শেখর বলেন, গত ২/৩ বছর চোখের রোগীর সংখ্যা মারাত্মকহারে বেড়ে গেছে। যার প্রধান কারণ যানবাহনে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ এলইডি বাল্ব এর আলোক রশ্মি। অনেক সাধারণ বাল্বের আলোক রশ্মি হেডলাইটের উপর অর্ধেক কালো আবরণ না থাকায় সরাসরি মানুষের চোখে লাগছে। এটা চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. নজরুল বলেছেন, মানুষের কল্যাণে অবিলম্বে যানবাহনে এলইডি বাল্ব ব্যবহার বন্ধ করা জরুরি হয়ে পডেছে। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিআরটিএ ও পৌর কর্র্তৃপক্ষকে এক যোগে কাজ করতে হবে।
যশোর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, আমদানিকৃত যানবাহনের কোন পরিবর্তন করতে হলে বিআরটিএর অনুমোদন বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি হেডলাইটের উপর অর্ধেক কালো অবরণ না দেয়াটা বেআইনি।
যশোর ট্রাফিক বিভাগের টিআই-১ মাহফুজুর রহমান বলেন, যানবাহনে নিষিদ্ধ এলইডি বাল্ব ব্যবহার ও হেডলাইটের উপর অর্ধেক কালো অবরণ না দেয়ার মতো বেআইনি কাজটি যারা করছে অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যশোর ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) শুভেন্দু কুমার বলেছেন, এই বেআইনি কাজটি বন্ধ করাটা ট্রাফিক বিভাগের পক্ষে একা সম্ভব নয়। দরকার সমন্বিত প্রয়াস। ব্যবস্থা নেয়ার সব ব্যবস্থা