নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা যুবদলের প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে শহরের লালদীঘির পাড়স্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। মারপিটে যুবদলের ২৬ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন। তারা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত যুবদল কর্মীরা হলেন, আলমগীর হোসেন বাবু (৪০), মামুন হোসেন (২৭), জিলহজ্ব রবিন (৩৫), মহন শেখ ((৩৮), তারেক (৪৪), জাকির হোসেন (৪৮), কবির হোসেন (৩৮), আজিম রহমান (৩০), সজিব হোসেন (৩০), রফিকুল ইসলাম (১৮), শাহিন হোসেন (১৮), ইমরান হোসেন (৩৫), সাগর হোসেন (৪১), ওবায়দুল ইসলাম (৪২), নান্নু মিয়া (৪২), কালু মৃধা (৪০), সাইফুল ইসলাম (৩০), তারেক (৪৪), মোহন শেখ (৩৮), মনির হোসেন (৩৪), ফেরদৌস গাজী (৫০), আক্কাজ মিয়া (৩২), কলিম উদ্দীন (৪০) আশরাফুল আলম (৪০) সাইফুল ইসলাম (৩০) ও জাকির হোসেন (৪৮)।
আহত জিলহজ্ব রবিন জানান, সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতা আকবার আলী হত্যার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে যশোর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ চলছিল। এসময় ডিবি পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালিয়ে লাঠি পেটা করে। এতে তারা আহত হয়েছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জানান, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ চলছিলো। আকস্মিকভাবে পুলিশ কর্মসূচিতে হামলা করে। পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক জসিম উদ্দিন জানান, আহতরা সকলে আশংকামুক্ত। ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য সার্জারী মডেল ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।
যশোর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসমীম আলম জানান, ‘করোনাকালীন সময়ে সকল প্রকার সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তারপরেও বিএনপি অফিসে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে কয়েকশ’ নেতাকর্মী জড়ো করা হয়। সমাবেশ করতে নিষেধ করা হলে যুবদল কর্মীরা উৎশৃংখল আচরণ করে। এসময় হুড়োহুড়িতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।’